বিজ্ঞাপন

‘মানব পাচার রোধে ৭ বছরেও আলাদা ট্রাইব্যুনাল হয়নি’

April 20, 2019 | 4:17 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, ‘মানব পাচার রোধে আলাদা আইন হলেও গত সাত বছরেও আলাদা কোনো ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়নি।’ এতে মানবপাচারের মামলার সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও তা নিষ্পত্তি হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে মানবাধিকার কমিশনের আয়োজনে মানব পাচার বিষয়ে এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, মানব পাচারের ঘটনায় মামলার সংখ্যা বাড়ছেই। মানবপাচার রোধে ২০১২ সালে আইন হয়েছে। এখন ২০১৯ সাল। দেশে অনেক প্রতিষ্ঠান হয়েছে, আদালতও গঠন করা হয়েছে। কিন্তু মানবপাচারের মামলা নিষ্পত্তিতে আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করা যায়নি। সময় এসেছে মানব পাচারের মামলা নিষ্পত্তিতে আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠনের। এখনই তা বাস্তবায়ন করতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে হিউম্যান ট্রাফিকিং এর মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় উঠে এসেছে। ওইসব মামলার তদন্ত ও বিচার কার্যের জন্য মানব পাচার রোধের ট্রাইব্যুনাল হলে বেশি কার্যকরী হবে।

তিনি বলেন, মানব পাচার রোধে পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ সদর দফতর হিউম্যান ট্রাফিকিং এর ক্ষেত্রে যে পরিমাণ অপরাধী ধরার কথা বলছে তাদের অধিকাংশই ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক পুলিশ সদর দফতরের দেয়া এক প্রতিবেদন তুলে ধরে বলেন, মানবপাচারের ক্ষেত্রে ৬ হাজার ১০৫ জনকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু বিচার ও তদন্তে মাত্র ২৫ জনকে অপরাধী সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এসব মামলায় অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন আইনজীবী প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিরা আটক রয়েছেন উল্লেখ করে মানবাধিকার চেয়ারম্যান বলেন, ভারত, পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আমাদের অনেক বাংলাদেশি আটক আছেন। নানা উদ্যোগ স্বত্ত্বেও আমরা তাদের আনতে পারছি না। আমরা কতজনকে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারছি? গত দুই বছরে মানবপাচারের চিত্র খুবই খারাপ। বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রে বিশ্বে সুনাম কুড়াচ্ছে। কিন্তু মানবপাচারের মতো গুরুতর মানবাধিকারের লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রগতি আনা সম্ভব হচ্ছে না।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম এর বাংলাদেশ প্রধান গিওরগি গিগাউরি, ইন্ডিয়ান অ্যাটসেক এর ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর মানবেন্দ্র নাথ মন্ডল।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচ/আইই/জেডএফ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন