বিজ্ঞাপন

শ্রীলঙ্কাকে ২২১ এর বেশি করতে দেয়নি বাংলাদেশ

January 27, 2018 | 4:10 pm

বিশেষ প্রতিনিধি, মিরপুর থেকে

বিজ্ঞাপন

প্রথম ইনিংসের পর অবধারিতভাবে প্রশ্নটা উঠে যাবে, মিরপুরের এই উইকেটে কত রান ‘পার স্কোর’? অন্তত ম্যাচের প্রথম ১০ ওভার শেষে কেউই সম্ভবত প্রশ্নের উত্তরটা দিতে পারবেন না।

ওভারপ্রতি যখন প্রায় ছয়ের কাছাকাছি রান রেট ছিল, মনে হচ্ছিল এই পিচে ৩০০র কাছাকাছিও খুবই সম্ভব। কিন্তু সময় যতই গড়াতে থাকল, এই মাঠে ব্যাট করা হয়ে গেল ভাঙা বন্দুক দিয়ে বাঘ মারার মতোই কঠিন। এতোটাই যে, ধুঁকতে ধুঁকতে শ্রীলঙ্কা ২২১ রান করেই অলআউট হয়ে গেল। বাংলাদেশের জন্য এই রান তাড়া করা সহজ হবে না মোটেই, তবে ২২১ রানে যে থামিয়ে দিতে পেরেছে সেজন্য মাশরাফি রুবেল-মোস্তাফিজদের পিঠ চাপড়েই দিতে পারেন।

এই দুজনের কথা একটু আলাদা করেই বলতে হলো। মাশরাফির ‘জুয়াটা’ যে সবচেয়ে ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছেন দুজনই। শুরুতে কুশল মেন্ডিসের ৯ বলে ২৮ রানের ঝড় যখন শ্রীলঙ্কার রানের চাকাকে সচল করে দিয়েছে, এক প্রান্ত থেকে টানা মিরাজকে বল করিয়ে গেলেন মাশরাফি। নিজেও প্রথম স্পেলে করলেন ছয় ওভার।

বিজ্ঞাপন

মিরাজ শুরুতেই ফিরিয়ে দিয়েছেন গুনাথিলাকাকে, আর উড়তে থাকা মেন্ডিসকে ফিরিয়ে সবচেয়ে বড় ব্রেকথ্রু দিয়েছেন মাশরাফি। ২০ ওভার পরেও রুবেল বল হাতে পাননি, সাকিব মাত্র এসেছেন, মোস্তাফিজ করেছেন মাত্র দুই ওভার। বোঝাই যাচ্ছিল, মাশরাফি তুরুপের তাসদের শেষের জন্যই রেখে দিয়েছেন।

লাইভ ম্যাচ সারাবাংলায়

বিজ্ঞাপন

শ্রীলঙ্কাও চালটা বুঝতে পেরে পালটা চালই দিল। প্রথম ১০ ওভার পর রানের গতিটা হয়ে গেল স্লথ, বুঝেশুনেই খেলছিলেন ডিকভেলা-থারাঙ্গা। ডিকভেলা তাও একটু মাঝেমধ্যে আক্রমণের চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু ৫৭ বলে ৪২ রান করে আউট হয়ে গেলেন সাইফের বলে।

শ্রীলঙ্কা এরপর আরও খোলসে ঢুকে গেল। থারাঙ্গা অবশ্য আউট হতে পারতেন। একবার মুশফিক, পরে নাসির ছেড়েছেন তার ক্যাচ। ৮৭ বলে ফিফটি পেলেন, কিন্তু ‘সংগ্রামী’ ইনিংসটা আর বেশিদূর বাড়িয়ে নিতে পারলেন না। চান্দিমালের সঙ্গে প্রায় ১৩ ওভারের জুটিতে উঠল মাত্র ৪৫ রান। মোস্তাফিজের বলে শুরুতে রিভিউ নিয়ে পার পেয়েছিলেন, পরের বলেই বোল্ড। মোস্তাফিজ পেলেন ওয়ানডেতে তার ৫০তম উইকেট।

এরপর ব্যাট করা হয়ে গেল আরও কঠিন। থিসারা পেরেরা ব্যবধান গড়ে দিতে পারতেন, কিন্তু ২ রান করে রুবেলের বলে ক্যাচ দিলেন মিড অনে। শ্রীলঙ্কার বড় স্কোর তখন পেল বড় ধাক্কা। চান্দিমাল এক প্রান্ত আঁকড়ে ছিলেন, কিন্তু রানের গতিটা একদমই স্লথ হয়ে গেল। অন্য পাশ থেকে উইকেটও পড়তে থাকল নিয়মিত। ৬ রান করা গুনারত্নেকে ফিরিয়ে দিলেন রুবেল, পেলেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট।

শেষ ১৫ ওভারে মাশরাফির এক ওভার বাদ দিলে টানা বল করে গেছেন রুবেল-মোস্তাফিজ, শ্রীলঙ্কাও তাতে হাঁসফাঁস করেছে। শেষ দিকে নেমে আকিলা ধনাঞ্জয়া ১৬ বলে ১৭ রানের ইনিংস না খেললে শ্রীলঙ্কার রান ২০০ পেরুতোই কোনোমতে। এর মধ্যে রুবেল দারুণ এক ইয়র্কারে ফিরিয়ে দিয়েছেন চান্দিমালকে, শেষ ওভারে পেয়েছেন আরও একটা উইকেট। শ্রীলঙ্কার রানও ২২১ এর বেশি হয়নি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ কি এই রান তাড়া করতে পারবে?

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন