বিজ্ঞাপন

‘ঋণখেলাপিদের মাফ করে দেওয়া হবে’

April 28, 2019 | 7:12 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

সংসদ ভবন থেকে: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ঋণখেলাপিদের মাফ করে দেওয়া হবে। সরকার তার প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে। তবে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণখেলাপি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বেই ঋণখেলাপিদের মাফ করে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। আমাদের দেশের বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি আইন কার্যকর ছিল না। যে কারণে ব্যাংকে ঢুকলে সেখান থেকে বের হওয়ার পথ ছিল না। তাই আমরা আইনগুলো কার্যকর করে সেই আইনি প্রক্রিয়ায় সহনীয় পরিস্থিতি তৈরি করে সবাইকে মাফ করার ব্যবস্থা করব।’

সবার স্বার্থে এই কাজটি করতে যাচ্ছি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এরমধ্যে অনেক বির্তক হচ্ছে। অনেকে অনেক রকম কথা বলছে। মাফ কিন্তু সারা বিশ্বেই করে। আমাদের দেশে কিন্তু মাফ করার ব্যবস্থা ছিল না। কারণ আমাদের দেশে দেউলিয়া আইন এবং ব্যাংক আর্বিটেশন যেগুলো আছে সেগুলো কার্যকর ছিল না। সেইজন্য একবার ব্যাংকে ঢুকলে সেখান থেকে আর বের হওয়ার পথ ছিল না।’

বিজ্ঞাপন

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা একটা ইকুইটেবল পরিস্থতি তৈরি করে এখন থেকে মাফ করার ব্যবস্থা করব। সব ব্যবসায়ীকে জেলে পাঠিয়ে দিয়ে দেশের অর্থনীতি চালানো যাবে না। তবে আবার সবাইকে মাফও করা যাবে না। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে খেলাপি হয় যায়, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অ্যাকশন অবশ্যই নিতে হবে। আমাদের কঠোর অবস্থানে যেতে হবে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, “এটা স্বতঃসিদ্ধ, আমরা সবাই জানি যদি ব্যাংকিং খাত স্বাভাবিকভাবে চলতে না পারে এবং যদি ঋণের ভারে জড়জড়িত হয়ে যায়। আর নন পারফর্মিং লোনের পরিমাণ যদি বেড়ে যায়, তাহলে আমরা আমাদের অর্থনীতির গতিশীলতা থেকে বিচ্যুত হব। আমরা সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমাদের ব্যাংক খাতগুলোর ‘রেট অব ইন্টারেস্ট’ সুদের হার কমাব। সুদের হার কমানো না গেলে নন পারফর্মিং লোন কমবে না।”

নন পারফর্মিং লোন বেড়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, ‘নন পারফর্মিং লোন তখনই বেড়ে যায়, যখন লোন নিয়ে কেউ পরিশোধ করতে পারেন না। নন পারফর্মিং লোন হওয়ার কারণে সুদের হার অনেক বেশি। যখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানা ঋণ পরিশোধ করতে পারে না, তখন সেখানে সঙ্গত কারণেই খেলাপি হয়ে যায়। আর ঋণখেলাপি রেখে ব্যাংক শিটগুলোর এতোটাই দূরবস্থার মধ্যে আছে, সেগুলোকে যদি পরিস্কার না করি তাহলে এগুলো আরও খারাপ হয়ে যাবে। সেজন্য সুদের হার মোটামুটি সহনশীল অবস্থায় নিয়ে আসতে যাচ্ছি।’ এটা করতে পারলেই আমরা সফল হবো, আমাদের কর্মসংস্থান বাড়বে। শিল্পকারখানাগুলোও বেঁচে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন