বিজ্ঞাপন

এবারো হলো না বাংলাদেশের!

January 27, 2018 | 7:39 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

প্রথমবারের মতো কোনো ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জেতার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। এর আগে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেও পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল টাইগাররা। এবারো ফাইনালে উঠেছিল স্বাগতিকরা। তবে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালের মঞ্চে লাল-সবুজরা হেরেছে ৭৯ রানের ব্যবধানে।

জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ২২২ রান। স্বাগতিকরা ৪১.১ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৪২ রান। ইনজুরিতে পড়ায় মাঠে নামেননি সাকিব। প্রায় একাই লড়ে যাওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৭৬ রান করেন। অভিষিক্ত ম্যাচে হাথুরুসিংহের নিয়ে আসা ২২ বছর বয়সী শেহান মাদুশাঙ্কা হ্যাটট্রিক করেন।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিদায় নেন ইনফর্ম ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। দলীয় ১১ রানের মাথায় বিদায় নেন ৩ রান করা তামিম। নবম ওভারে ফেরেন সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ মিঠুন। ১০ রান করে রানআউট হন তিনি। দলীয় ২২ রানের মাথায় ফিরে যান ২ রান করা সাব্বির। ২২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়লে দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু নিজের ভুলেই সাজঘরে ফিরে যান মুশফিক। দলীয় ৮০ রানে ধনাঞ্জয়ার বলে থারাঙ্গার ক্যাচে বিদায় নেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

মুশফিকের পর দলীয় ৯০ রানের মাথায় ধনাঞ্জয়ার বলে তাকেই ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৫ রানে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ। মাহমুদউল্লাহর সাথে সাইফের ব্যাটে যখন এগিয়ে যাচ্ছিল টাইগাররা, ঠিক তখনি নিজেদের ভুলেই দলীয় ১২৭ রানের মাথায় রান আউট হয়ে বিদায় নেন সাইফ। এরপর ৫ রান যোগ করে সাজঘরে ফিরে যান মাশরাফি। পরের বলেই বোল্ড হয়ে মাদুশাঙ্কার বলে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় রুবেলকে। সবশেষে ফিরে গেলেন ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রাখা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৭৬ রান করে মাদুশাঙ্কার বলে থারাঙ্গার হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দুপুর ১২টায় শুরু হয় ফাইনাল। আগে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা নির্ধারিত ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে তোলে ২২১ রান।

লঙ্কানদের ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ৫৬, কুশল মেন্ডিস ২৮, নিরোশান ডিকওয়েলা ৪২, দিনেশ চান্দিমাল ৪৫, আকিলা ধনাঞ্জয়া ১৭ রান করেন।

বিজ্ঞাপন

পেসার রুবেল হোসেন চারটি উইকেট পান। মোস্তাফিজ দুটি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট দখল করেন মিরাজ, মাশরাফি এবং সাইফ উদ্দিন।

 

সারাবাংলা/এমআরপি/এসএন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন