বিজ্ঞাপন

‘ফখরুলের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে’

May 2, 2019 | 10:34 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। এ সময় তিনি বিএনপির শীর্ষ নেতাদের আস্থা না থাকার কারণে ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে পারেন নি বলে উল্লেখ করেন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২ মে) চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এক অনুষ্ঠানে নিজের বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে গণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘ মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব আপনার জন্য আমাদের দু:খ হয়। বিএনপি থেকে পাঁচজনকে শপথ নিতে দিলেও আস্থা না থাকার কারণে আপনাকে শপথ নিতে দেওয়া হয় নাই। আপনার বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে যার প্রমাণ হলো এই আস্থা হারানো। এতো বড় লজ্জার পরেও আপনি বিএনপির হয়ে সরকারের বিপক্ষে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন।’

মীর্জা ফখরুলের পদ্মাসেতু ও কর্ণফুলী টানেলের দরকার নেই মন্তব্যের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, ‘পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। দেশের এগিয়ে নিতে চাইলে পদ্মা সেতু এবং কর্ণফুলী টানেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বিএনপি নেতারা সব সময় সরকারের সকল উন্নয়ন কাজের বাধা হয়ে দাড়ায়। গতকালও মির্জা ফখরুল বলেছেন পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেলের নাকি দরকার নেই। অথচ বিএনপি শাসনামলের এমন একটি উন্নয়ন মূলক কাজও তাদের নেই, যা দেশের মানুষ দেখতে পেরেছে। ’

বিজ্ঞাপন

বিএনপি জামায়াতকে একটি ঘৃণিত দল দাবি করে আওয়ামী লীগের এই ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশের মানুষ তাদের ঘৃণা করে বলেই নির্বাচনেও বয়কট করেছে।’

ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত মোকাবিলা করার সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ফণীর আঘাতে যাতে কোন মানুষের ক্ষতি না হয় এর জন্য সরকার সকল প্রস্তুতি নিয়েছেন। এর পরেও রিজভী আহমেদ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী কোন ধরণের প্রস্তুতি না নিয়েই বিদেশে চলে গেছেন। এত বড় মিথ্যাচার কিভাবে করতে পারলেন বিএনপির আবাসিক মহাসচিব?’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের বহু লোক মারা যাওয়ার পরে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, যত লোক মারা যাওয়ার কথা তার চেয়ে কম লোক মারা গেছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ যাওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কয়েকটি বৈঠক করে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি দিয়ে গেছেন।’

বিজ্ঞাপন

ঘূর্ণিঝড় ফণী দেশের মানুষের যেনো কোন ধরণের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য সারা দেশের মসজিদে দোয়া মাহফিল করা হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

তিনি আরও বলেন, ‘ ঘূর্ণিঝড় ফণীতে যাতে কোন ধরণের ক্ষতি না হয় সেজন্য সরকারের পাশাপাশি উপকূলীয় অঞ্চলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্কতা পেলেই আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা সরকারের পাশাপাশি সকলকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে কাজ করবে।’

অনুষ্ঠানে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে যেনো কারো কোন ক্ষতি না হয় তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুতি হিসেবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপকূলীয় অঞ্চলের সকল ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সকল ধরণের প্রস্তুতির নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফরিদুল আলম মাস্টার। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম, চকোরিয়ার সাংসদ জাফর আলম, চন্দনাইশের সাংসদ নজরুল ইসলাম, সাংসদ ওয়াসিকা আয়েশা খানম, সাতকানিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছা সেবক লীগের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নাফিউল করিম নাফা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন