বিজ্ঞাপন

থমকে আছে সড়ক, গরমে নাভিশ্বাস

May 5, 2019 | 5:43 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দিনভর যানজটে থমকে আছে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কড়া রোদের তাপ। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে এই যানজট আর গরমে রাজপথে বের হওয়া মানুষদের নাভিশ্বাস উঠেছে। রমজানকে সামনে রেখেই এমন যানজট বলে মনে করছেন ঢাকার ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা। আর আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আগামী চার দিন ধরে চলবে এমন তীব্র রোদ-গরম।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৫ মে) দুপুর ১টা। সারাবাংলার এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজিউর রহমানের। জানালেন, ক্লাস শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে দুপুর ১টায় উঠেছেন তানজিল পরিবহনের একটি বাসে। গন্তব্য ফার্মগেট। দুপুর তখন ৩টা। তবু শাহবাগ পর্যন্তই যেতে পারেননি। নেমে যে হাঁটবেন, সে উপায়ও ছিল না। কারণ ঘাম আর ক্লান্তিতে তার শরীর তখনই প্রায় নিঃসাড়।

গরমে বেড়েছে ডাবের চাহিদা

নাজিউর বলেন, গাড়ির চাকা কোনোভাবেই নড়ছে না। বংশাল আল রাজ্জাক হোটেলের সামনে থেকে জিরো পয়েন্ট পার হতে বাস থেকে সবাই নেমে গেছে। প্রচণ্ড গরমে বাসের ভেতরে কেউ টিকতে পারছেন না। পুরো সড়ক যেন থমকে আছে। পল্টন মোড় থেকে এক লেন হয়ে শাহবাগ আসতে জীবন যেন যায় যায় অবস্থা। ফার্মগেটে যেতে কত সময় লাগবে, তা বলতে পারছি না।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী সিনথিয়া তাবাসসুম কেয়া, মগবাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে গিয়েছেন মতিঝিল। গন্তব্যে পৌঁছাতে তার সময় লেগেছে এক ঘণ্টা ২০ মিনিট। বলেন, প্রচণ্ড রোদে মোটরসাইকেলে বসে  রীতিমতো পুড়ছিলাম।  এমন অসহ্য গরমে টেকাটায় দায়। মানুষ কেমন করে বের হবে এই যানজটে?

বিজ্ঞাপন

রাস্তার ধারে আখের রস বিক্রির দোকানগুলোতেও বিক্রি বেড়েছে

সড়কে অসহনীয় যানজট সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক দক্ষিণ) মফিজ উদ্দিন আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, একদিন বাদেই রোজা। প্রয়োজনে প্রায় সবাই বাসা থেকে বেরিয়েছে। সারাদেশ থেকে ব্যবসায়ীরাও এখন ঢাকায় এসেছেন কেনাকাটা করতে। এছাড়া গত দুই দিন ফণীর প্রভাব থাকায় মানুষজন খুব একটা ঘর থেকে বের হননি। সব মিলিয়ে রাজধানীতে গত সপ্তাহের তুলনায় আজ একটু যানজট বেশি মনে হচ্ছে। তাছাড়া সকল রাস্তাঘাট খোঁড়াখুঁড়ির কারণে যানজট আরও একটু বাড়তি যোগ হয়েছে।

দেদারছে বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে বিক্রি করা শরবতও

যুগ্ম কমিশনার আরও বলেন, ট্রাফিক পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে। একজনের জায়গায় দু’জন ট্রাফিক কাজ করছে। প্রত্যেক মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের বাড়তি সদস্যরা রয়েছেন, ক’দিন আগেও যেখানে একজন সদস্য দায়িত্ব পালন করেছে। রোদের কারণে মানুষের তাড়াহুড়ো বেড়েছে। সবাই চায়, আগে যেতে পারলেই বাঁচেন। এতে অনেক সময় ট্রাফিক আইন ভঙ্গও হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

প্রচণ্ড গরমে ওষ্ঠাগত পশুপাখির প্রাণও; পাখিটিও তাই একটু পানির ছোঁয়ার আশায় নেমেছে পুকুরে

এদিকে, আগারগাঁও আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ সারাবাংলাকে বলেন, আগামী চার দিন আজকের মতোই রোদ থাকবে। এরপর বলা যাবে সেটা তাপদাহে বদলে যাবে কি না। সহসাই আমরা বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখছি না। এই সময়ে সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে সামান্য বৃষ্টিপাত হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/টিএস/জেডএফ  

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন