বিজ্ঞাপন

বিমানের রাঘব বোয়ালদের খুঁজে বের করতে দুদককে অনুরোধ

May 5, 2019 | 9:17 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে দুর্নীতিতে জড়িত রাঘব বোয়ালদের খুঁজে বের করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বিমান শ্রমিক লীগ।

বিজ্ঞাপন

রোববার ( ৫মে) দুপুরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয়, বলাকাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ জানান বিমান শ্রমিক লীগের সভাপতি মুশিকুর রহমান। তার অভিযোগ— বিমানের দুর্নীতিতে জড়িত বড় বড় রাঘব বোয়ালদের আড়াল রাখার প্রচেষ্টা চলছে।

বিমানের রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে আপনাদের কাছে কোনো তথ্য রয়েছে কি না জানতে চাইলে বিমান শ্রমিক লীগ সভাপতি বলেন, ‘দুদক যেমন তদন্তের প্রয়োজনে আমাদের খুঁজে বের করেছে, তেমনই তাদেরকেও খুঁজে বের করতে হবে।’

মুশিকুর রহমান বলেন, ‘জাতির দৃষ্টি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য মিথ্যা-বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে বিমান শ্রমিক লীগ নেতাদের নাম দুদকে পাঠানো হয়েছে। এর মাধ্যমে বিমানের বড় বড় রাঘব বোয়ালদের আড়ালে রাখার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এ ধরনের চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই।’

বিজ্ঞাপন

এই শ্রমিক নেতা বলেন, ‘দুদককে অতীতেও সহযোগিতা করেছি, ভবিষ্যতেও করব। তারা যে তথ্য চায়, আমরা দেব। তবে তাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ, বিমানের রাঘব বোয়ালদের যেন খুঁজে বের করা হয়। কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের প্রচারণায় যেন শ্রমিক-কর্মচারীদের হয়রানি করা না হয়। কেননা উড়োজাহাজ লিজ, কেনাকাটা, নিয়োগ কোনো ক্ষেত্রেই শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রশাসনিক-আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই।’

২০১৪ সালে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করায় কর্তৃপক্ষ বিরাগভাজন হয়ে ২১ জন সিবিএ নেতাকর্মীর নাম দুদকে পাঠিয়েছে। সিবিএ বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগ প্রসঙ্গে মুশিকুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘ ছয়বছর দুদক সিবিএ নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে। অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে দুদক গত ৬ মার্চ আমাদের অব্যাহতি দিয়েছে। এর ১৫ দিনের মাথায় ফের একই অভিযোগে শ্রমিক নেতাদের নাম দুদকে পাঠিয়ে বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বিষয়টি উদ্দেশ্যমূলক।’

‘তবে দুদকের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো আপত্তি, নালিশ বা অভিযোগ নেই। তারা যতবার তদন্ত করবে আমরা সহায়তা করব। তবে একই ব্যক্তিকে বারবার এভাবে তদন্তের মুখোমুখি করা কী হয়রানি নয়’ প্রশ্ন তোলেন মুশিকুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

বিমান শ্রমিক লীগের সভাপতি মুশিকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমানের প্রায় ছয় হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে শুধুমাত্র বিমান শ্রমিক লীগ সিবিএ নেতাদের কেন বারবার হয়রানি করা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়াই ট্রাভেলস শপ লিমিটেডের পরামর্শে এবং মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ৭৭৭ উড়োজাহাজ, ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ লিজ, ইঞ্জিনিয়ারিং ওভারহোলিং, জিএসএ নিয়োগে একক ব্যবসা সুপ্রতিষ্ঠিত করার খবর সংবাদপত্রে এসেছে। সে সব বিষয় থেকে জাতির দৃষ্টি ভিন্নখাতে নেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।’

মুশিকুর রহমান বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি মালিকাধীন দেশি-বিদেশি কোম্পানিকে বাংলার মাটিতে বিমানবন্দরের কার্গো ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না। পদ্মাসেতু ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট যদি নিজেদের অর্থায়নে সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারি, তাহলে অবশ্যই আমরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে সফলভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং করতে পারব।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিমান শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান ও মোহাম্মদ রফিকুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল হক, দপ্তর সম্পাদক হারুনুর রশিদ, আব্দুর বারী লাবলু, এমকেএম মাসুম বিল্লাহ, রুবেল চৌধুরী, মিজানুর রহমান প্রমুখ।

সারাবাংলা/জেএ/একে

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

বিমানের এমডিকে অব্যাহতি
বিমানের বিদায়ী এমডিসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন