বিজ্ঞাপন

লেকহেড স্কুল বিষয়ে ভয়াবহ তথ্য আছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

December 5, 2017 | 12:53 pm

স্টাফ করেসপনডেন্ট

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর লেকহেড গ্রামার স্কুলের বিরুদ্ধে ভয়াবহ তথ্য আছে বলে জানিয়েছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মঙ্গবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা, অনেক প্রাক্তন-বর্তমান শিক্ষক এবং কিছু অভিভাবকের সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা আছে। তার মধ্য থেকে শুধু এটুকু বলতে পারি এ স্কুলের সঙ্গে জড়িত অনেকেই আইএসএর সদস্য হিসেবে সিরিয়ার যুদ্ধে গেছে।

মিরপুরে একজন প্রাক্তন মেজর জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার দায়ে আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন। এর থেকে বেশি আর কিছু বলা আমার মনে হয় ঠিক হবে না।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া লেকহেড গ্রামার স্কুলে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ । আগামী সাতদিনের মধ্যে এই পর্ষদ গঠনের জন্য বলা হয়েছে।

লেকহেড গ্রামার স্কুল খুলে দিতে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের শুনানি করে মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াহ্‌হাব মিয়ার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারকের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, সেনাবাহিনীর শিক্ষা কোরের একজন কর্মকর্তাকে রেখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে গঠিত ওই পর্ষদের সভাপতি হবেন ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার। এছাড়া স্কুলটির অধ্যক্ষও হবেন সেনাবাহিনীর একজন।

বিজ্ঞাপন

স্কুলের মালিক ও অভিভাবকদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার আখতার ইমাম ও রাশনা ইমাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্কুলটি পরিচালনা পর্ষদের অধীনেই পরিচালিত হবে জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল গ্রহণ করেছে। এখন আপিল শুনানি হবে। কোন কোন গ্রাউন্ডে শুনানি করব এরইমধ্যে সে নোট আদালতে জমা দিয়েছি।’

অন্যদিকে আবেদনের পক্ষের আইনজীবী রাশনা ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাত দিনের মধ্যে কমিটি গঠন করা হলেই স্কুল খুলে দেওয়া যাবে বলে আমরা আশা করছি।’

জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতা, ধর্মীয় উগ্রবাদে উৎসাহ দেয়াসহ কয়েকটি অভিযোগে গত ৬ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঢাকায় লেকহেড গ্রামার স্কুল বন্ধের নির্দেশ দেয়। ঢাকা জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট ইলিয়াস মেহেদী পরদিন ওই স্কুলে গিয়ে সিলগালা করে দেন। এ অবস্থায় ওই স্কুলের মালিক খালেদ হাসান মতিন এবং ১২ শিক্ষার্থীর অভিভাবক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন।

বিজ্ঞাপন

তাদের দুটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ গত ৯ নভেম্বর রুল জারি করেন। এরপর হাইকোর্টে রুলের ওপর দুদিন শুনানি হয়। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্কুলটি খুলে দেয়ার রায় দেন।

কিন্তু এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার আদালতে গেলে ওই রায় স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এরপর আপিল বিভাগ এ মামলার শুনানি শেষে গত রোববার আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করে দেন।

সারাবাংলা/এজেডকে/এমএম/একে

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন