বিজ্ঞাপন

যানজটে নাকাল নগরবাসী

May 12, 2019 | 3:19 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: যানজট রাজধানীবাসীর কাছে নতুন কিছু নয়। তবে কখনো কখনো সেই যানজট ছাড়িয়ে যায় সহনীয়তার মাত্রা, তাতে নিত্য যানজটে অভ্যস্ত রাজধানীবাসীকেও হিমশিম খেতে হয়। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে তেমনই যানজটের কবলে পড়ে নাকাল হতে হচ্ছে ঢাকাবাসীকে। দিনের শুরু থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজট দেখা দেয়। বেলা গড়াতে তা অনেক এলাকাতেই অসহনীয় মাত্রায় পৌঁছে যায়।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১২ মে) সকাল থেকেই রাজধানীর তেজগাঁও, আজিমপুর, নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাব, বাংলামোটর, শাহবাগ, মিরপুর এলাকাগুলোয় যানজট শুরু হতে দেখা গেছে।

দুপুর ১টার দিকে সংসদ ভবনের সামনে খামার বাড়ি এলাকায় কথা হয় এক বাসযাত্রীর সঙ্গে। তিনি জানান, সকাল ১১টায় রওনা দিয়েছেন আজিমপুর থেকে, গন্তব্য আগারগাঁও। ঘণ্টা দুয়েকেও তিনি খামার বাড়ি পার হতে পারেননি।

বিজ্ঞাপন

আরেক বাসযাত্রী আব্দুল সাইয়িদ জানান, শেওড়াপাড়ায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। থাকেন লালবাগে। সকাল ৮টার দিকে আজিমপুর থেকে রওনা দিয়ে অফিসে পৌঁছেছেন ১১টারও পর! তিনি বলেন, ‘অবস্থা এমন দাঁড়াইছে যে চাকরি টিকিয়ে রাখতে পারব কি না, বলা মুশকিল।’

একই ধরনের চিত্র সকাল থেকেই ছিল তেজগাঁও-মগবাজার সড়কেও। সকাল ১০টা নাগাদ নাবিস্কো বাস স্টপ থেকে শুরু করে তিব্বত হয়ে সাত রাস্তা পর্যন্ত তো বটেই, মগবাজার ফ্লাইওভারের ওপর-নিচ দিয়েও স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল গাড়ি। এদিকে, মালিবাগ-মৌচাক থেকে কাকরাইল পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশেই ছিল গাড়ির তীব্র চাপ। এসময় বাসে করে শান্তিনগর থেকে পল্টন পৌঁছাতেই সময় লেগেছে এক-দেড় ঘণ্টা। আবার একইভাবে পল্টন থেকে মালিবাগ পৌঁছাতেই সময় লেগেছে ঘণ্টা দুয়েক!

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর শাহবাগ হয়ে বাংলামোটর-কারওয়ান বাজার ও কাটাবন-সায়েন্স ল্যাব সড়কেও ছিল একই রকমের চাপ। বাড়তি চাপ দেখা গেছে মিরপুর রোডে কলাবাগান-ধানমন্ডি ৩২-আসাদ এলাকাতেও।

কেবল যানজট নয়, কড়া রোদও এদিন সঙ্গী হয়েছে। তাতে নাভিশ্বাস উঠেছে নগরবাসীর।

যানজট নিয়ে জানতে চাইলে শেরেবাংলা জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট শামসুজ্জামান বলেন, আজ সপ্তাহের প্রথম দিন হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে সড়কে যানবাহনের চাপ ছিল। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে।

বিজ্ঞাপন

সারারাবাংলা/এসএইচ/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন