বিজ্ঞাপন

সফলতা-ব্যর্থতার বিচার করবে নগরবাসী: সাঈদ খোকন

May 17, 2019 | 10:18 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘চেষ্টা করেছি শতভাগ সেবা নিশ্চিত করতে। সেক্ষেত্রে কতটুকু সফলতা অর্জন করেছি কিংবা ব্যর্থ হয়েছি সে বিচার নগরবাসীর ওপর ছেড়ে দিলাম।’

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে ‘ডিএসসিসি মেয়রের দায়িত্ব পালনে ৪ বছর পূর্তি’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘মাত্র ৪০ ভাগ জনবল নিয়ে দায়িত্ব পালন করছি। যে কারণে শুরু থেকেই নানা প্রতিবন্ধকতা মাথায় নিয়ে জনগণের সেবা করা শুরু করেছিলাম। অনেক কাজ করার চেষ্টা করেছি। সেসব কাজে অনেক সময় সফল হয়েছি, আবার অনেক সময় ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু পিছু হটিনি। তাই মেয়র হিসেবে আমার মূল্যায়ন নগরবাসী করবেন।’

উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে মেয়র বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন ৪০-৫০ বছর ধরে শান্তিনগরের যে জলাবদ্ধতার সমস্যা ছিল সেটি সমাধান হয়েছে। আগে নগরীর ভবন গলিয়ে আকাশ দেখা যেতো না বিলবোর্ডের কারণে। সেটি অপসারণ করে এখন ডিজিটাল বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। নগরীতে স্ট্রিটলাইট বলতে কিছুই ছিল না। দায়িত্ব নিয়ে স্ট্রিট লাইট স্থাপন করেছি। সেটি মোবাইলের মাধ্যমে চালু এবং বন্ধ করছি। শুধু তাই নয়, কোথাও এ বাতি নষ্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে তা মোবাইলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণও করা হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার সময় ৮৫-৯০ ভাগ রাস্তা ছিল অনুপযোগী। সেটি এখন ব্যবহারযোগ্য করা হয়েছে। জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে সবাই যথেষ্ট সোচ্চার রয়েছে। শুধু তাই নয়, জলসবুজের প্রকল্প শেষ পর্যায়ে। এটি শেষ হলেই জনগণের হাতে তুলে দিবো। এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও জনগণকে দিয়ে দিবো। আগামী দিনেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’

নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে ডিসিসি’কে দুইভাগে বিভক্ত করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে মেয়র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত ছিল খুবই সুদূরপ্রসারী। রাজধানী ঢাকার আকার দিন দিন বড় হচ্ছে। তাই যেভাবে দুই সিটি করপোরেশনকে বিভক্ত করা হয়েছে সেভাবে সেবা প্রদানকারী অন্যান্য সংস্থাগুলোকেও দুই ভাগে ভাগ করা উচিত। এতে নাগরিকদের কাঙ্ক্ষিত সেবা আরও দ্রুততম সময়ে দেওয়া যাবে।’

বিজ্ঞাপন

সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘নাগরিক সেবা প্রদান এবং নগরের উন্নয়নে এখনও বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে থাকা সমন্বয়হীনতা অনেক বড় মাপের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করছে। তাই নগর ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এই প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারলে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা যাবে।’

আগামী এক বছরের কি কি উন্নয়ন করা হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘আগামী এক বছরে নতুন যুক্ত হওয়া ইউনিয়নগুলোকে ঢাকার শহরের আদলে নতুন করে সাজাবো। যাতে সেগুলো মডেল শহরে রূপান্তিরত হতে পারে। শুধু তাই নয়, আগামীতে পুরোনো ঢাকাকে রি-ডেভেলপম্যান্টের মাধ্যমে নতুন আঙ্গিকে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। যেভাবে সিঙ্গাপুর কিংবা টোকিওর মত শহর বদলে গিয়েছিল, সেভাবেই পুরান ঢাকার গল্প লিখতে চাই নতুন করে।’

সংবাদ সম্মলেনর পর ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন- প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, ডিএসসিসির সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিন এ খানসহ ডিএসসিসির কর্তকর্তা ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা।

সারাবাংলা/এসএইচ/এমও

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন