বিজ্ঞাপন

রক্তসিঁড়ি ডিঙিয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটেছিল আজ

December 6, 2017 | 2:34 am

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

স্বৈরাচার পতন দিবস আজ।  ১৯৯০ সালের এই দিনে তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে, রক্তসিঁড়ি ডিঙিয়ে তত্কালীন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পদত্যাগ করেন।  ফলে জনগণের দাবি বাস্তব রূপ পায়।  আর দীর্ঘ ৯ বছর পর গণতান্ত্রিক পরিক্রমার পথটি দৃশ্যমান হয়।

১৯৮২ সালের মার্চ মাসে ক্ষমতা দখল করেন সেনাবাহিনীর প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সেই সময়েই এর বিরুদ্ধে সব রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ শুরু করে।  এরশাদ এসব প্রতিবাদ দমনে ব্যাপক নিপীড়নের পথ বেছে নেন।  ১৯৮৪ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা শাজাহান সিরাজকে গুলি করে হত্যা করা হয়।  ১৯৮৭ সালে ঢাকায় বুকেপিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান লিখে মিছিলে অংশ নেওয়া যুবলীগকর্মী নূর হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এরপর ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে গণগ্রন্থাগারের কোনায় স্বৈরাচারের বিশেষ বাহিনীর গুলিতে নিহত হন ছাত্রলীগের নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলন। এই হত্যার সংবাদে তৎকালীন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আন্দোলনরত সব পেশাজীবী সংগঠন অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো জ্বলে ওঠে।  জেনারেল এরশাদের দীর্ঘ ৯ বছরের দুর্নীতি আর দুঃশাসনের কারণে সাধারণ মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ সেদিন রাজপথে ফেটে পড়ে।  গণরোষ গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়।

অবশেষে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের টানা গণ-আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন এরশাদ। এরপর থেকে প্রতিবছর ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

বিজ্ঞাপন

তবে গণতান্ত্রিক পথপরিক্রমায় ঐতিহাসিক এই দিনটি বিভিন্ন রাজনৈতিদক দল বিভিন্ন নামে পালন করে। সরকারদলীয় সংগঠন আওয়ামী লীগ দিবসটি পালন করে ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবে।  বিএনপি পালন করে ‘স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবে।  আর এরশাদের দল জাতীয় পার্টি দিবসটি পালন করে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে।

ক্যাপশন : সংবাদপত্রে স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পদত্যাগের খবর পড়ছেন একজন পাঠক।  ছবি : সংগৃহীত

সারাবাংলা/এসবি/আইজেকে/ডিসেম্বর ০৬, ২০১৭

 

বিজ্ঞাপন

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন