বিজ্ঞাপন

সার্ভার বিকল-ভোগান্তি, আগাম টিকিট বিক্রির প্রথমদিন পার

May 22, 2019 | 8:14 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: অনলাইন সার্ভার জটিলতা ও ভোগান্তি নিয়ে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে শুরু হয়েছে ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি। এছাড়া টিকেট বিক্রির সময় একঘণ্টা পিছিয়ে নেওয়ায় ভোগান্তিও কিছুটা বাড়ে। এরপরও কাঙ্ক্ষিত টিকেট হাতে পেয়ে খুশি হয়েছেন যাত্রীরা।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২২ মে) সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। প্রথম দিনেই প্রধান চারটি রুটের ১০ টি ট্রেনের ৭ হাজার ৪১ টি টিকিট কাউন্টার থেকে ছাড়া হয়। বাকি ৭ হাজার টিকিট দেওয়া হয়েছে অ্যাপসের মাধ্যমে। প্রথমদিন বিক্রি হয়েছে ৩১ মে’র টিকিট।

প্রথমদিন ঢাকা-চট্রগ্রাম রুটের তূর্ণা এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা, সূবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর, গোধূলী, চট্টগ্রাম-সিলেট রুটের উদয়ন এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটের বিজয় এক্সপ্রেস এবং চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে।

তবে টিকিটের জন্য মধ্যরাত থেকেই কাউন্টারে দাঁড়াতে হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের। ঢাকার টিকেট কিনেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. জাকির। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘রাত তিনটা থেকে কাউন্টারে লাইনে দাঁড়িয়েছি। প্রায় ছয়ঘণ্টা কষ্টের পর টিকেট পেয়েছি। ভালো লাগছে ঈদটা বাড়িতে করতে পারব।’

বিজ্ঞাপন

ঢাকার আরেক যাত্রী শারমিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘সেহেরি খেয়েই কাউন্টারে এসেছি। অনেকের পেছনে ছিলাম। একটু কষ্ট হয়েছে, কিন্তু টিকিটটা পেয়েছি।’ তবে টিকেট বিক্রি শুরুর পর বারবার অনলাইন বিকল হয়ে পড়ছিল। টিকেট বুকিং কর্মীরা জানিয়েছেন, সার্ভার সচল থাকলে প্রতিটি টিকেট বিক্রিতে সর্বোচ্চ সময় লাগে দেড়মিনিট। কিন্তু সার্ভার একবার বিকল হলে সচল হতে সময় লাগে ৫-৭ মিনিট। এ সময় যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

মো.আবুল খায়ের নামে সিলেটের এক যাত্রী সারাবাংলাকে বলেন, ‘গতবছরও কোরবানির ঈদের সময় সার্ভার জটিলতার কারণে ভোগান্তি হয়েছিল। এবারও একই ভোগান্তি।

বিজ্ঞাপন

একবছরেও সার্ভার মেরামত করা হল না কেন? অন্যবছর টিকিট বিক্রি হতো সকাল ৮টা থেকে। এবার বিক্রি হচ্ছে ৯টা থেকে। তীব্র গরমের মধ্যে যাত্রীদের কষ্ট বেড়েছে। টিকিট বিক্রির সময় একঘণ্টা এগিয়ে আনলে সমস্যা কী বুঝি না।’

সার্ভার জটিলতা নিয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘টিকিট আমরা বিক্রি করলেও অনলাইন সার্ভার নিয়ন্ত্রণ করে আইএনএস নামে একটা প্রতিষ্ঠান। সার্ভারে মাঝে মাঝে ত্রুটি দেখা দিলেও দ্রুত আবার সচল হচ্ছে। যেহেতু যাত্রীরা দীর্ঘসময় ধরে কাউন্টারের সামনে আছেন, সে জন্য কয়েক মিনিটের বিলম্বেও ওনাদের সমস্যা হচ্ছে।’

এদিকে টিকেট কালোবাজারি ঠেকাতে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রেলওয়ে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ শরীফুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘যেসব যাত্রী টিকেট কিনছেন তাদের ওপর আমরা নজর রাখছি। কাউন্টারের সামনে এবং আশেপাশে সাদা পোশাকে আমাদের সদস্যরা কাজ করছে। এছাড়া অনলাইনকেন্দ্রিক যে টিকিট বিক্রি সেটা আমরা মনিটরিং করছি।’

এছাড়া যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে মোতায়েন করা হয়েছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ১ জুনের, ২৪ মে ২ জুন, ২৫ মে ৩ জুন এবং ২৬ মে দেওয়া হবে ৪ জুনের টিকেট। এছাড়া ফেরত যাত্রীদের জন্য ২৯ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত দেওয়া হবে যথাক্রমে ৭ থেকে ১১ জুনের টিকিট।

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন