বিজ্ঞাপন

বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন মোদি

May 23, 2019 | 10:56 am

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। প্রাথমিক ফলাফল অনুসারে, বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে নরেন্দ্র মোদি ও তার নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুসারে, ৫৪২ আসনের মধ্যে ৩২৪ আসনেই এগিয়ে রয়েছে এই জোট। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট এগিয়ে রয়েছে ৮৮ আসনে। অন্যান্যদের মধ্যে মহাগতবন্ধন (এমজিবি) এগিয়ে রয়েছে ২৩ আসনে এবং অন্যান্য দলগুলো এগিয়ে রয়েছে ১০৭ আসনে। খবর দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া ও দ্য হিন্দুর।

বিজ্ঞাপন

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মোট ৫৪৩ আসনের মধ্যে ৫৪২ আসনের ফলাফল প্রকাশের কথা রয়েছে। তামিল নাডুর ভেলোর আসনে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগে সেখানে ভোটগ্রহণ বাতিল করা হয়। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এনডিএ’র ৩০০ আসনের মধ্যে মোদির নিজদল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এককভাবে এগিয়ে রয়েছে ২৭৬ আসনে; কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৬০ আসনে; এম কে স্ট্যালিনের দ্রাবিড় মুনেত্র কাঝঘাম এগিয়ে রয়েছে ২১ আসনে ও তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ২৫ আসনে।

উল্লেখ্য, সরকার গঠনের জন্য যেকোনো জোটের প্রয়োজন ২৭২ আসন।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার ভারতের নির্বাচনে প্রত্যেক কেন্দ্রে ভোটার ভ্যারিফাইড পাওয়ার অডিট ট্রায়াল (ভিভিপ্যাট) ব্যবহার করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক, প্রত্যেক লোকসভা কেন্দ্রের পাঁচটি ভিভিপ্যাট এলোমেলোভাবে বাছাই করে সেগুলোর সঙ্গে ইভিএম প্রদত্ত সংখ্যা মিলিয়ে দেখা হবে।

এদিকে, তামিল নাডুর ভেলোর আসনে টাকা দিয়ে ভোট কেনা হচ্ছে এমন অভিযোগে ভোটগ্রহণ বাতিল করা হয়।

দ্য হিন্দু জানিয়েছে, প্রায় ৪ হাজারের বেশি ভোট গণনা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সেসব কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকেই শুরু হয়েছে ভোটগণনা।

বিজ্ঞাপন

গণনার প্রক্রিয়া অনুযায়ী, সবার প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা হবে। সার্ভিস ভোটারের সংখ্যা ১৮ লাখ। এর মধ্যে রয়েছেন সেনাবাহিনী, কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ কর্মীরা, যারা তাদের লোকসভা কেন্দ্রের বাইরে কর্মরত। কূটনীতিক ও ভারতীয় দূতাবাসের সহযোগী কর্মীরা, যারা বিদেশে আছেন তাঁদেরও সার্ভিস ভোটার হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ১৮ লাখ নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে ১৬.৪৯ লক্ষ ভোটার দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং আধিকারিকদের কাছে তাদের পোস্টাল ব্যালট পাঠিয়ে দিয়েছেন ১৭ মে। এক নির্বাচন আধিকারিক জানাচ্ছেন, এই পোস্টাল ব্যালটগুলি গুনতেই অন্তত দুই ঘণ্টা লেগে যাবে।

ভিভিপ্যাটের স্লিপগুলি শেষে গোনা হবে। প্রক্রিয়া অনুযায়ী, প্রথমে স্লিপগুলি গণনা করে নিয়ে তারপর ইভিএম চালু করে তার সংখ্যার সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া হবে। কোনো গরমিল হলে পেপার স্লিপের গণনাকেই ফাইনাল বলে ধরা হবে। এই পুরো ইভিএম-ভিভিপ্যাট মেলানোর প্রক্রিয়াটির জন্য অতিরিক্ত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লাগবে।

সারাবাংলা/আরএ

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন