বিজ্ঞাপন

চৌদ্দ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় লিভারপুলের

June 2, 2019 | 3:17 am

স্পোর্টস ডেস্ক

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে টটেনহ্যাম হটস্পার্সকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় লিভারপুলের। রোববার রাত একটায় স্পেনের মাদ্রিদের ওয়ানডা মেট্রোপলিটিয়ানো স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮-১৯ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল।

বিজ্ঞাপন

ফাইনালে টটেনহ্যামকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ১৪ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করে লিভারপুল। ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে সব থেকে মর্যাদাপূর্ণ শিরোপা ষষ্ঠবারের মতো জয় করলো লিভারপুল। আর নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেও শিরোপা বঞ্চিত স্পার্স।

মাদ্রিদে ফাইনালের প্রথম মিনিটেই পেনাল্টি পায় লিভারপুল। লিভারপুল ফুলব্যাক রবার্টসনের শট হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করে টটেনহ্যাম মিডফিল্ডার মৌসা সিসোসকো। আর তা চোখ এড়ায়নি রেফারির, সরাসরি পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়ে দিলেন। পেনাল্টি পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হননি মোহাম্মদ সালাহ। এবারের মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের ৫ম গোল করে খেলার এক মিনিট পূর্ণ হতেই দলকে এগিয়ে নেন এই মিশরীয়।

আর এরপরেই জার্গেন ক্লপের গিগেন প্রেসিং কতটা ভয়ংকর তা দেখলো স্পার্স সমর্থকেরা। নিজেদের অর্ধ থেকে ডিফেন্ড করে স্পার্সের রক্ষণভাগে আক্রমণ। সালাহ আর সাদিও মানেকে দুই উইংয়ে আটকাতে ব্যর্থ পচেত্তিনোর শিষ্যরা।

বিজ্ঞাপন

আর এতেই ক্লপের ভাগ্য স্কটিশ রাজা রবার্ট ব্রুসের সাথে মিলে গেল। এর আগে ছয় ফাইনালে হারের মুখ দেখেছেন ক্লপ। এর মধ্যে ছিলো দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালও। তবে এ যেন ‘সাত ভাল যার সব ভাল তার।’

রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ২০১৭-১৮ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল মোহাম্মদ সালাহকে। তাই তো গতবারের ফাইনালের পারফরম্যান্সটাই যেন তুলে রাখা ছিল এই ইজিপশিয়ানের।

প্রথম মিনিটে গোল পাওয়ার পর দ্বিতীয় গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে অলরেডসরা। একের পর এক আক্রমণে জর্জরিত স্পার্স ডিফেন্স। ট্যাক্টিক্যালি পচেত্তিনোকে পুরোপুরি ছিটকে দিয়েছেন ক্লপ। প্রথমার্ধেই বেশ কিছু পাল্টা আক্রমণ করে স্পার্স, তবে ডি বক্সের ভেতরেই যেন যত তালগোল বাঁধিয়ে ফেলে তারা। ফিনিশিংয়ের অভাবে প্রথমার্ধে সমতায় ফিরতে ব্যর্থ স্পার্স।

বিজ্ঞাপন

আক্রমণ পালটা আক্রমণের মধ্য দিয়ে প্রথমার্ধ শেষ হয়। আর পেনাল্টি থেকে মোহাম্মদ সালাহর একমাত্র গোলে ১-০ তে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় লিভারপুল।

বিরতি থেকে ফিরেও সেই চেনা অলরেডস। প্রথমার্ধে ঠিক যেখানে শেষ করে বিরতিতে গিয়েছিল, দ্বিতীয়ার্ধে ঠিক সেখান থেকেই তাদের শুরু। ম্যাচ জুড়ে আধিপত্য বিস্তার করে খেলে লিভারপুল। আর শেষ দিকে কিছু সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ স্পার্স।

উল্টো শেষ দিকে অরিগির গোলে লিড দ্বিগুণ করে লিভারপুল। আর এক যুগেরও বেশি সময় পর ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পুনরুদ্ধার করে অলরেডসরা। আর সমর্থকদের ১৪ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটে ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের মাধ্যমে।

শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথে প্রায় এগারোশত দিনের পর রিয়াল মাদ্রিদ ব্যতিত অন্য কোন ক্লাবের নাম উঠলো ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। আর উল্লাসে মাতলো অলরেডস সমর্থকেরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএস/টিএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন