বিজ্ঞাপন

বড় সংগ্রহের দৃষ্টি বাংলাদেশের

January 31, 2018 | 2:45 pm

চট্টগ্রাম থেকে প্রতিনিধি

বিজ্ঞাপন

 

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম সেশনে তামিম-ইমরুল ফিরে গেলেও দ্বিতীয় সেশনে দুর্দান্ত খেলেছেন মুমিনুল-মুশফিক। ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট শতকের দেখা মেলে মুমিনুলের। দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশ ২ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ২৫০ রান। প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৭৪ রান। মুমিনুল হক ১৭৫ ও মাহমুদউল্লাহ ৯ রানে অপরাজিত আছেন। ১২০ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারালেও মুশফিক-মুমিনুল মিলে টেস্টে বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেট জুটিতে গড়েছেন সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড (২৩৬)।

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম সেশনটা এক বাক্যে কী বলা যায়? দারুণ গতিতে ছুটতে থাকা ট্রেনের হুট করে দুইবার শিকল টেনে দেওয়া। প্রথম সেশনটা যখন বাংলাদেশের জন্য পয়মন্তই হয়ে যাচ্ছিল, সেশন শেষে সেটা হয়ে যায় আক্ষেপের। তামিম ইকবালের আউটটা না হয় মানা গেল, কিন্তু লাঞ্চের আগে শেষ ওভারেই ইমরুল কায়েসের আউট যেন গড়বড় করে দেয় সবকিছু। ২ উইকেটে ১৮৯ রান নিয়ে বাংলাদেশের তৃপ্তির চেয়ে অনেক বেশি আফসোসই থাকার কথা, শ্রীলঙ্কাও খুব একটা খুশি হবে না তাতে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলায় দেখুন বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট ম্যাচ

দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস শুরু থেকেই যেন ঠিক করে রেখেছিলেন, রঙিন পোশাকে ওয়ানডে খেলবেন। লাহিরু কুমারার দ্বিতীয় ওভারেই টানা তিনটি চার মারেন তামিম। ইমরুল অবশ্য বেশ কয়েকবার খোঁচা দিয়ে একটুর জন্য বেঁচে গেছেন, তবে তামিম খেলছিলেন দারুণ। ১০ ইনিংস পর বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ৫০ রান করে, তাও আসে মাত্র ৫৭ বলে। অন্য পাশে তামিম ছিলেন দারুণ সপ্রতিভ, স্লিপ ও কিপারের মাঝে একটা চার বাদ দিলে মনেই হচ্ছিল না একবারের জন্যও ব্যাকফুটেই আছেন। ৪৬ বলে ফিফটিও পেয়ে যান, চার হাজার রানের মাইলফলক তখন আরেকটু কাছে।

বিজ্ঞাপন

শেষ পর্যন্ত রক্ষণ করতে গিয়েই হয় সর্বনাশ। দিলরুয়ান পেরেরার বলটা ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে ভেঙে দেয় স্টাম্প, ৫৩ বলে ৫২ রান করে ফিরে যান তামিম। দলীয় ৭২ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর মুমিনুল আর ইমরুল রানের চাকাটা অবশ্য স্লথ হতে দেননি, শ্রীলঙ্কার বোলারদের কাউকেই খুব একটা থিতু হতে দিচ্ছিলেন না। দুজনের জুটিটা যখন ৫০ হব হব করছে, লাঞ্চ তখন চলেই এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশের সেশনটা এরপর তেতো বানিয়ে দেন ইমরুল। সান্দাকানের বলটা প্যাডে লাগার পর আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার, ৪০ রানেই ফিরে যান ইমরুল। বাংলাদেশ ১২০ রানের মাথায় হারায় দ্বিতীয় উইকেট।

এরপরই মুশফিক-মুমিনুলের জুটি, যা বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ। ওয়ানডে স্টাইলে খেলে ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতক তুলে নেন মুমিনুল। দলীয় ৩৫৬ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৯২ রানে আউট হন মুশফিক। পরের বলেই লিটন দাস বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন শূন্য হাতে। দিনশেষে মুমিনুল হক ২০৩ বল খেলে ১৬ চার ও ১ ছক্কায় ১৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন। তার সাথে মাহমুদউল্লাহ আছেন ৯ রানে।

তার আগে টসে জিতেছিলেন মাহমুদউল্লাহ, ব্যাট করার সিদ্ধান্তটা নিতে ভাবতে হয়নি। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের উইকেটে স্পিনাররা সাহায্য পাননি, প্রথম ইনিংসের রানটা তাই ম্যাচ নির্ধারণীই হয়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), লিটন দাশ, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, সানজামুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

শ্রীলঙ্কা একাদশ: দিমুথ করুনারত্নে, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, কুশল মেন্ডিস, দীনেশ চান্ডিমাল (অধিনায়ক), নিরোশান ডিকভেলা, রোশেন সিলভা, দিলরুয়ান পেরেরা, রঙ্গনা হেরাথ, সুরঙ্গা লাকমল, লাকসান সান্দাকান, লাহিরু কুমারা।

সারাবাংলা/এএম/এসএন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন