বিজ্ঞাপন

দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ ময়দানে সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত

June 3, 2019 | 5:16 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ঈদ-উল ফিতরে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ বড় ময়দান ঈদগাহ মাঠে। আয়োজকরা দাবি করেছেন, এবার শোলাকিয়াকেও ছাড়িয়ে যাবে এই ঈদের জামাত। প্রায় ১০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ গ্রহণ করবেন বলেও জানানো হয়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন এই জামাতে। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতিও শেষ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জেলা প্রশাসন জানিয়েছেন, উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মিনার দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে এবার ঈদ জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।

উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম প্রান্তে ২০১৫ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণের প্রায় দেড় বছরে এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত করা হয়। উপমহাদেশে এর তুলনা করার মতো অন্য কোনো ঈদগাহ মাঠ নেই। ৫২ গম্বুজের দুই পাশে ৬০ ফুট করে ২টি মিনার, মাঝখানে ৫০ ফুট করে দু’টি মিনার। আর প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। এসব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ ৫১৬ ফুট।

দেশের সবচেয়ে বড় ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকে প্রায় অর্ধেক জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত ঈদগাহ মিনারটি। মাঠ আরও বড় করতে ঈদগাহের পেছনে শতবছরের স্টেশন ক্লাব ভেঙে ফেলা হবে। এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মাঠ প্রস্তুতির কাজ চলছে পুরোদমে। যেখানে খাল ছিল, সেই জায়গাগুলো বালি-মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। ঈদগাহ মাঠ নামাজ আদায়ের জন্য তৈরিতে ব্যস্ত শ্রমিকরা। যেন দম ফেলার ফুসরত নেই। গোটা মাঠ যেন সবুজের ঘাসের আস্তরণে পরিণত হয়েছে।

৫২ গম্বুজের এই ঈদগাহ মাঠে ঈদ-উল ফিতরের প্রধান জামাতে এক সঙ্গে ১০ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে আশা আয়োজকদের। এ ঈদগাহ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে তিন কোটি ৮০ লাখ টাকা। প্রতিবছর দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। দিনাজপুরবাসী আশা করছে, পঞ্চমবারের মতো এবারও এই ঈদগাহ মাঠে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

দিনাজপুর সদর আসনের এমপি জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এই বড় ঈদ জামাতের উদ্যোগ নিয়েছেন। দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব শামসুল ইসলাম কাশেমী।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম জানান, ১০ লক্ষাধিক মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের প্রধান জামাত আয়োজনে থাকছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঈদগাহের চারপাশে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মুসল্লিদের তল্লাশির পর জামাতে প্রবেশ করানো হবে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সাদা পোশাকে ঈদগাহ প্রাঙ্গণে দায়িত্ব পালন করবেন। র‌্যাব সহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরাও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সক্রিয় থাকবেন।

মাঠের নিরাপত্তার জন্য নির্মিত হয়েছে ৪টি বিশাল পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। এই ঈদগাহ নির্মাণের উদ্যোক্তা জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম জানান, শুধু বাংলাদেশই নয়, উপমহাদেশে এতো বড় মিনার সম্বলিত ঈদগাহ মাঠ আর একটিও নেই। এ বছর প্রায় ১০ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে, যা শোলাকিয়ার চেয়ে অনেক বড়। লোক সমাগম বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন স্তরের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন