বিজ্ঞাপন

ফিরছে নাগরিক, ব্যস্ত হচ্ছে শহর

June 8, 2019 | 4:58 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঈদের দীর্ঘ ছুটি শেষে নগরে ফিরতে শুরু করেছে নাগরিক। শনিবার (৮ জুন) বেসরকারি অফিসগুলো খুললেও আগামীকাল থেকে পুরোদমে শুরু হবে সরকারি অফিসের কার্যক্রম। ফলে গাবতলী, মহাখালী, কমলাপুর ও সদরঘাটের মতো নগরীর প্রবেশ মুখগুলোতে আজ সকাল থেকেই শহরমুখী মানুষের ভিড়।

বিজ্ঞাপন

তবে সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীরা ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করলেও রাজধানীতে এখনো কর্মব্যস্ততা শুরু হয়নি। রাস্তায় ব্যক্তিগত ও পাবলিক পরিবহনের সংখ্যার মতো লোকজনের চলাফেরাও অনেক কম। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো এখনো চালু হয়নি।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বলেন, ‘ঈদের এক দিন পর সিলেট থেকে ফেরার কোনো ট্রেনের টিকিট মেলেনি। তাই গাড়ি ভাড়া করে ঢাকায় এসেছি। রাস্তায় খুব একটা যানজট চোখে পড়েনি। তবে মহাসড়কে গাড়িগুলোর অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ছিলাম।’

রাজধানীর কমলাপুরে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা সারা জামানের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘গাড়ি কম থাকায় কমলাপুর থেকে বারিধারা পর্যন্ত ৬০০ টাকা ভাড়া চাচ্ছে সিএনজি। অনেক বিপত্তি সামলে ঢাকায় এসেছি, এখানে এসে পড়লাম নতুন বিপত্তিতে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কিভাবে যেতে পারি।’

বিজ্ঞাপন

এদিন সকাল থেকেই ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহন ছিল হাতে গোনা। রিকশাও খুব একটা চোখে পড়েনি। বেশিরভাগ দোকানপাটই ছিল বন্ধ। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রিকশা, সিএনজি ও বাসের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে উবার-পাঠাওয়ের মতো রাইডশেয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবহন।

ছুটি শেষে ঢাকামুখী মানুষ

ঢাকায় আজ সবচেয়ে বেশি মানুষ এসেছে মহাখালী ও গাবতলী অংশ দিয়ে। কমলাপুর রেলস্টেশনেও ঢাকামুখী মানুষের ভিড় ছিল অনেক। সদরঘাট লঞ্চ স্টেশনে ভোরের দিকে বরিশাল থেকে মানুষেরা এসেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সদরঘাটে মানুষ আসার পরিমাণ কমেছে।

বিজ্ঞাপন

লঞ্চ, বাস ও ট্রেনের যাত্রী সেবা নিয়ে গুরুতর কোনো অভিযোগ করেনি যাত্রীরা। তবে ঢাকামুখী ট্রেনে ঢাকায় প্রবেশের আগে বেশ কয়েকটি জায়গায় ঢিল ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে বলে কয়েকজন যাত্রী সারাবাংলার এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেছেন।

কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার আমিনুল হক জুয়েল জানান, ঢাকামুখী মানুষের ভিড় আগামী কাল ও পরশু আরো বাড়বে। ভিড় এড়াতে অনেকেই এখন আসছেন না, এরা যখন আসতে শুরু করবেন তখন স্টেশনে পা ফেলার জায়গাও থাকবে না। আমরা চেষ্টা করছি ঢাকায় আসার পথে এসব যাত্রীরা যেন কোনো অসুবিধায় না পড়েন।’

সারাবাংলা/টিএস/এমও

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন