June 23, 2019 | 6:02 pm
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: দেশের সব কারাগারে বন্দিদের ধারণ ক্ষমতা, বন্দির সংখ্যা, কর্মরত চিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্য পদের তালিকা চেয়েছেন আদালত।
জনস্বার্থে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (২৩ জুন) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাই কোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে কারা মহাপরিদর্শককে তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে।
এই আদেশের পাশাপাশি বন্দিদের আইনগত অধিকার বিষয়ক রুল জারি করেছেন আদালত। বন্দিদের মানসম্মত থাকার জায়গা নিশ্চিতকরণ ও শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব (সুরক্ষা বিভাগ), স্বাস্থ্য সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও কারা মহাপরিদর্শককে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শাম্মী আকতার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। আদালতে রিটটি দায়ের করেছিলেন আইনজীবী জে আর খান (রবিন)।
শুনানি শেষে জে আর খান রবিন সাংবাদিকদের বলেন, দেশে ৬৮টি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি কেন্দ্রীয় ও ৫৫টি জেলা কারাগার। এসব কারাগারে ধারণ ক্ষমতার তুলনায় দ্বিগুণ আসামি রয়েছে। ১২৯ জন কারাচিকিৎসক থাকার কথা, সেখানে কর্মরত মাত্র ৯ জন। এ বিষয়ে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এই রিটটি করা হয়েছিল।
সারাবাংলা/এজেডকে/এটি