বিজ্ঞাপন

সমাজে অর্থের বৈষম্য তৈরি হয়েছে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

December 6, 2017 | 1:48 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, সমাজে অর্থের বৈষম্যে তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে সম্পদেরও বৈষম্যে সৃষ্টি হয়েছে। এটা একটি দেশের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে। এগুলো দূর করতে হলে অামাদের চিন্তা-ধারণায় পরিবর্তন অানতে হবে।

বুধবার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে সিপিডি অায়োজিত ‘নাগরিক সম্মেলন ২০১৭ : বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়ন’ শীর্ষক সম্মেলনের প্রারম্ভিক অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেবপ্রিয় বলেন,  কাউকে পেছনে রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন সম্ভব হবে না। এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হলে বৈষম্যের শিকার সবাইকে উন্নয়নের অংশীদার করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে হয়তো বলতেন, তাদের তোমরা পিছিয়ে রাখতে পারবা না।

তিনি বলেন, বৈষম্য দূর করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন অামরা তা কবর। এর জন্য অামরা একটা নেটওয়ার্ক তৈরি করেছি।

বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দেশ বিশ্বয়কর অগ্রগতি সাধন করেছে। মেধা এখন শক্তির পরিচয় বহন করে। কিন্তু এর পাশাপাশি মানুষের ব্যর্থতাও কম নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেলেও ন্যূনতম চিকিৎসা থেকে এখনো বঞ্চিত বহু মানুষ।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমরা দৃষ্টিনন্দন অট্টালিকা দেখে যেমন মুগ্ধ হয়, কিন্তু ভুলে যায় বহু মানুষ এখনো খোলা আকাশের নিচে বসবাস কর।

তিনি আরো বলেন, সমাজ ও দেশে নিষ্ঠুরতা বেড়েছে, তার প্রমাণ রোহিঙ্গা নির্যাতন, ঘরে ঘরে নারী নির্যাতন।
মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, প্রতিটি নাগরিক যেন তার নাগরিকত্ব বোধ থেকে মনে করেন, আমরা পেছনে পড়ে থাকব না। সবাই আজ শপথ করব, কেউ আমাদের পেছনে ফেলে রাখতে পারবে না।

সাবেক তত্ত্বাবধারক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, জাতীয় জবাবদিহিতার কাঠামো বিভাজিতভাবে দেখা যাবে না। আমরা এখনো গেইম অফ নাম্বারস এর মধ্যে আছি। ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা কি বৈষম্য দূর করতে পারব।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ৭১ সালের সেই অতীত ছিল শোষণ ও বাঞ্চনার অতীত। কাউকে পিছিয়ে রাখা যাবে না এটা যেন আমাদের দেশে বাস্তবায়িত হয়। গড় থেকে বের হয়ে প্রান্তিকতা বিবেচনা করতে হবে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য সবার অংশগ্রহণ দরকার। এজন্য বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। তবে বেসরকারি খাতকে উপেক্ষা করা যাবে না। তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে পাবলিক পার্টনারশিপ প্রয়োজন। সরকারের ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, তথ্য উপাত্ত, তরুণ-তরুণীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কর্মসংস্থান প্রয়োজন। বিদেশি সাহায্য নির্ভরতা কমাতে হবে। তিনি আরও বলেন, সদ্য প্রয়াত আনিসুল হক দেখিয়ে গেছেন কীভাবে অল্প সময়ে কিছু স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হয়।

বিজ্ঞাপন

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ অাইভী বলেন, স্থানীয় সরকার ছাড়া সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। সব কাজের ক্ষেত্রেই সুশীল সমাজকে যুক্ত করতে হবে। সরকার, উন্নয়ন সংস্থা ও সুশীল সমাজ একত্রিত হয়ে কাজ করলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। এক্ষেত্রে উদাহরণ আমার নারায়ণগঞ্জ।

এছাড়া আরও বক্তব্য রাখে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, ইউএনপডিপির আবাসিক প্রতিনিধি ইয়াকো একাসাকা, সিপিডির তৈফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।

সারাবাংলা/এএইচটি/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন