বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে খালের ওপর থেকে ১৪ অবৈধ বসতি উচ্ছেদ

July 3, 2019 | 9:59 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে খালের ওপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দ্বিতীয় দিনে আরও ১৪টি বসতি উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর আগে প্রথমদিনে ২৬টি স্থাপনার অবৈধ অংশ উচ্ছেদ করা হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে নগরীর সিঅ্যান্ডবি বালুর টাল এলাকায় নোয়া খালের অংশে উচ্ছেদ শুরু হয়ে একটানা চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সঙ্গে এই উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেয় সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।

জলাবদ্ধতা নিরসন মহাপ্রকল্পের আওতায় এই উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিডিএতে দায়িত্বরত বিচারিক হাকিম সাইফুল আলম চৌধুরীসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

সিডিএ কর্মকর্তারা জানান, অভিযানে একটি দোতলা ভবন, একটি একতলা ভবন, চারটি আধা পাকা ও আটটি টিনের তৈরি ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। খালের ১০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ ফুট জায়গা দখল করে এসব ভবন ও ঘর নির্মাণ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

নগরীর চান্দগাঁও এলাকা দিয়ে প্রবাহিত নোয়া খালের দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৮ কিলোমিটার। খালের প্রশস্ততা স্থানভেদে ৬০ থেকে ৯০ ফুট। এই খালের প্রায় সাত একর জায়গা দখল করে অবৈধভাবে ৮৬টি স্থাপনা গড়ে উঠেছে। অবৈধভাবে নির্মিত এসব স্থাপনার কারণে খালের প্রশস্ততা সংকুচিত হয়ে গেছে বলে জানান সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আহমদ মঈনুদ্দিন।

তিনি জানান, নোয়া খাল থেকে প্রথম দিন ১৪টি স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। বাকিগুলো দ্রুত উচ্ছেদ করা হবে। সবগুলো স্থাপনা অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার একটি প্রকল্প ২০১৭ সালে একনেকে পাশ হয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তত্ত্বাবেধানে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদকাল ধরা হয়। ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে খালের আবর্জনা অপসারণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রকল্পের কার্যক্রম।

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন