বিজ্ঞাপন

ছাত্রদল নেতার নির্দেশে রিক্রুটিং এজেন্ট খুন : পুলিশ

December 6, 2017 | 2:47 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর বনানীতে রিক্রুটিং এজেন্ট সিদ্দিক মুন্সীর খুনের নির্দেশদাতা ইউরোপের এক দেশে পলাতক ছাত্রদল নেতা। ওই নেতা সন্ত্রাসী হেলালকে দিয়ে টাকার বিনিময়ে সিদ্দিককে খুন করেন বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে পুলিশ। গুলশানের কালাচাঁদপুর থেকে হেলালকে আটকের বিষয়ে জানাতে মঙ্গলবার পুলিশের পক্ষ থেকে  এই ব্রিফিং করা হয়।

রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার এ মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটি ) প্রধান মনিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সিদ্দিক মুন্সী হত্যায় হেলালের নেতৃত্বে ৬ জন অংশ নেয়। যার মধ্যে ২ জন ক্যাপ ও মাস্ক পরা ছিল। এর মধ্যে ২ জন গ্রেফতার হয়েছে। পিচ্ছি আল আলামিন ও সাদ্দাম নামে আরো দুজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি দুজনকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, হেলাল অপারেশনাল কমান্ডার হওয়ায় হত্যার সময় সে সহহ দুজন ভেতরে ঢোকেননি। বাকি ৪ জন সরাসরি হত্যায় অংশ নেয়। এ হত্যাকান্ডে ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে|

এসব অস্ত্র দল নেতা হিসেবে হেলালের কাছে জমা থাকে। তারমধ্য ৫ টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মনিরুল ইসলাম।

উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ১ টি ৯ এমএম পিস্তল ও ৪ টি ৭.৬৫ মডেলের। এসময় ৯ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এ ঘটনায় ২৫ রাউন্ড গুলি ব্যবহার করা হয়। বাইরে শব্দ না হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সন্ত্রাসিরা রুমে ডুকে দরজা লক করে দেন। এয়ার টাইট থাকায় বাইরে আওয়াজ না হয়ে থাকতে পারে।

হেলালের পরিচয় হিসেবে মনিরুল ইসলাম বলেন, সে এক সময় ছাত্রদলের মধ্যম সারির নেতা ছিল।

সে দীর্ঘদিন যাবৎ পেশাদার খুনি হিসেবে কাজ করে আসছিল এবং হত্যার ঠিকাদারিও করতো। তার নেতৃত্বে এমন অনেক পেশাদার খুনি আছে।

জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, পুলিশ মনে করছে হেলালের সাথে সিদ্দিক মুন্সির কোনো ঝামেলা ছিল না। খুনিরা মুলত ভারাটে। তাদের কাছে খুন হলো চা-পানি পান করার মত।

বিজ্ঞাপন

এ হত্যায় আর্থিক চুক্তির প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল জানান, ইউরোপ প্রবাসী সন্ত্রাসীও এক সময় ছাত্রদলের নেতা ছিলো। সে তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কের সূত্রধরে হেলাল কে এই দায়িত্ব দেয়।

তখন হেলালকে প্রলুব্ধ করে বলা হয়েছিলো, সিদ্দিক মুন্সির অফিসে নগদ অনেক টাকা পাওয়া যাবে।

কেন সিদ্দিক মুন্সিকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি উল্লেখ করে মনিরুল বলেন, তবে সাধারণ কোনো চাঁদাবাজির ঘটনা বলে মনে করছে না পুলিশ। এর পেছনে ইউরোপ প্রবাসী সন্ত্রাসীর বাইরে আরো কেউ থাকতে পারে কি না, যে তাকে দায়িত্ব দিয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রবাসী সেই সন্ত্রাসী রাজধানীর বাড্ডায় ফোর মার্ডারসহ আরো হত্যার সঙ্গে জড়িত।

সারাবাংলা/ইউজে/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন