বিজ্ঞাপন

৮ বছরে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ

July 10, 2019 | 10:03 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে ক্রমান্বয়ে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ৮ বছরে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। ২০১০ সালে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। গত আটবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১০ জুলাই) টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে
অধিবেশন শুরু হয়।

প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।’

সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে ভেজাল ও ফরমালিনমুক্ত খাবার গ্রহণ ও ধূমপানসহ নানা কারণে প্রতিবছর ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু সেই অনুপাতে চিকিৎসা ও হাসপাতাল কম হওয়ায় রোগী ও অভিভাবকরা প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এই দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ইতোমধ্যে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে একটি করে আধুনিক চিকিৎসা সম্বলিত স্পেশাল ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ’

বিজ্ঞাপন

বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইপিইউ সম্মেলনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গীকার করেছিলেন ২০৪০ সালের মধ্যে দেশ তামাকমুক্ত হবে। তাঁর সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ওই সময়ের মধ্যে তামাক নির্মূল করতে চাই।’

এছাড়া মো. মসিবুর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিদেশি ওষুধ দেশীয় বাজারে বিপণের আগে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে আমদানিকৃত ওষুধের নিবন্ধন গ্রহণ করতে হয়। এছাড়া বিদেশি ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষার ব্যবস্থাও আমাদের রয়েছে। ’

সংসদ সদস্য মো. মুজিবুর হকের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে আগুনে পোড়া রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড ও বার্ন ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। তবে ঢাকা মেডিকেলে এ সংক্রান্ত রোগীর চাপ কমাতে ঢাকার বাইরে আপাতত ৫টি মেডিকেল কলেজে বার্ন ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ’

বিজ্ঞাপন

এদিকে বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাদের (সিএইচসিপি) চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের কোনো পরিকল্পনা নেই। কর্মরত জনবল ট্রাস্টের আওতায় সরকারি বিধি-বিধান অনুযায়ী সকল সুবিধা পাবেন।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন