বিজ্ঞাপন

শেখ জামালের সামনে আরামবাগ

February 4, 2018 | 7:47 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

চার কোয়ার্টার শেষ। এবার ফাইনালে ওঠার লড়াই। আর মাত্র একটি ম্যাচ। তাহলে স্বাধীনতা কাপের একটা ট্রফি নিশ্চিত। প্রথম সেমিতে মুখোমুখি ঢাকা আবাহনীকে উড়িয়ে দেয়া আরামবাগ ও ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করা শেখ জামাল।

এবারের টুর্নামেন্টে সম্ভাব্য সবচেয়ে বড় ‘দুর্ঘটনা’ ঘটিয়ে দিয়েছে মতিঝিলের ক্লাব আরামবাগ। ঢাকা আবাহনীকে আরামেই হারিয়ে দিয়েছে মারুফুল হকের শিষ্যরা। এবার সামনে চ্যালেঞ্জ ধানমন্ডির ক্লাব শেখ জামাল।

কোয়ার্টার ফাইনালে ঢাকা আবাহনীকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে চমকে দেয় আরামবাগ। গোল করেন সুফিয়ান সফিল, মোহাম্মদ জুয়েল, শাহরিয়ার বাপ্পী। তার আগে শেখ জামাল ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়েছিল ২-০ গোলের ব্যবধানে। গোল করেন নুরুল আবসার ও জাহেদ পারভেজ।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল চারটায় টুর্নামেন্টের প্রথম সেমি ফাইনালটি অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, প্রথম পর্বে ‘এ’ গ্রুপ থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শেখ জামাল। রানারআপ হয় রহমতগঞ্জ। ছিটকে যায় মোহামেডান। এই গ্রুপের তিন ম্যাচই ড্র হয়েছে। শেখ জামাল-মোহামেডান ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র, মোহামেডান-রহমতগঞ্জ ম্যাচ গোলশূন্য ড্র ও রহমতগঞ্জ ও শেখ জামাল ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে।

‘বি’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয় সবশেষ বিপিএলে অবনমন হওয়া ফরাশগঞ্জ। টুর্নামেন্টে সবার আগে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে দলটি। ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ২-১ গোলের ব্যবধানে প্রথম ম্যাচটি জিতে নেয় ফরাশগঞ্জ। গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচটিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে ফরাশগঞ্জ। শেষ ম্যাচটি মুক্তিযোদ্ধাকে ১-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ রানারআপ হয় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ছিটকে গিয়েছে স্বাধীনতা কাপের প্রথমবারের শিরোপাজয়ী মুক্তিযোদ্ধা।

বিজ্ঞাপন

‘সি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিপিএল চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী। রানারআপ হয়েছে ২০১৩ সালের এই টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল। আর বিদায় নিয়েছে টিম বিজেএমসি। গ্রুপের প্রথম ম্যাচ টিম বিজেএমসির বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতে নেয় আবাহনী। দ্বিতীয় ম্যাচে শেখ রাসেলের বিপক্ষে ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরে যায় বিজেএমসি। শেষ ম্যাচে শেখ রাসেলের বিপক্ষে এক গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ধানমন্ডির ক্লাবটি।

‘ডি’ গ্রুপে তিনটি ম্যাচই শেষ হয়েছে ড্রয়ে দিয়ে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টুর্নামেন্টের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী। চট্টগ্রাম আবাহনী ১-১ গোলে সাইফের সঙ্গে ড্র করে। দ্বিতীয় ম্যাচে আরামবাগের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে সাইফরা। শেষ ম্যাচটি চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে মতিঝিলের ক্লাব আরামবাগ। ম্যাচে সাইফের তুলনায় কার্ডের সংখ্যা কম থাকায় রানারআপ হয় আরামবাগ।

দুই দলের আরেকটি স্নায়ু যুদ্ধও হচ্ছে তলে তলে। হলুদ শিবিরের জাহেদ পারভেজ, নুরুল আবসার ও আরামবাগের মোহাম্মদ জুয়েল যৌথভাবে দুই গোল করে একই কাতারে আছেন। তিনজনের সামনে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার সুযোগ আছে। এক দিক থেকে দুই দলই একই ধরনের ফুটবল খেলে থাকে। ছোট ছোট পাস দিয়ে আক্রমণে যাওয়া। তবে, কে জায়গা করে নেবে ফাইনালে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

সারাবাংলা/জেএইচ/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন