বিজ্ঞাপন

রংপুরে এরশাদকে দাফনে রওশনের সম্মতি

July 16, 2019 | 4:10 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

ঢাকা: জাতীয় পার্টির সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদকে রংপুরের পল্লীনিবাসেই দাফনের জন্য সম্মতি দিয়েছেন সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা ও এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে রওশন এরশাদের পক্ষ থেকে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ সম্মতির কথা জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা আলহাজ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গত ১৪ জুলাই সকাল পৌনে আটটায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে আপনারা যে অভাবনীয় শ্রদ্ধা, সম্মান ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন তার জন্য আমি আপনাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রিয় দেশবাসী বিশেষত তাঁর প্রাণপ্রিয় রংপুরবাসীর আবেগ ও ভালোবাসার সম্মানার্থে তাঁকে রংপুরের মাটিতে সামধিস্থ করার বিষয়ে আমি ও আমাদের পরিবার সম্মতি প্রকাশ করছি। সেই সাথে বৃহত্তর রংপুরবাসীর অভূতপূর্ব আবেগ ও ভালোবসায় আমি ও আমাদের পরিবার আজীবন কৃতজ্ঞ ও চিরঋণি হয়ে থাকব।

বিজ্ঞপ্তিতে তিনি দেশবাসীর কাছে এরশাদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া কামনা করেন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: রংপুরেই এরশাদের দাফন

এর আগে এরশাদকে পল্লীনিবাসেই দাফন করা হবে বলে জানান জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম এম কাদের ও দলের মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা। রংপুরের মেয়রসহ লাখো মানুষ এরশাদের মরদেহ পল্লীনিবাসে নেওয়ার পরই এ ঘোষণা দেন তারা।

দুপুরে এরশাদের জানাজা শেষে রংপুরেই দাফন করার দাবি জানান মেয়র মোস্তাফিজার রহমান। এ সময় যেকোনো মূল্যে মরদেহ রংপুরে দাফন করা হবে বলে লক্ষাধিক মানুষকে ব্যারিকেড দেওয়ার নির্দেশও দেন মেয়র মোস্তাফিজ। এই দাবির পরেই পল্লী নিবাসে নেওয়ার জন্য এরশাদের লাশবাহী গাড়িতে উঠে বসেন মেয়র ও ছাত্রসমাজের নেতারা।

বিজ্ঞাপন

ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার এইচ এম এরশাদ মারা যান। ওইদিন বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে তার প্রথম জানাজা হয়। সোমবার (১৫ জুলাই) জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা এরশাদের দ্বিতীয় জানাজা হয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। এরপর বাদ আসর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে তৃতীয় দফায় জানাজা হয়।

এরশাদের মৃত্যুর দিনই জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রয়াত এই নেতার দাফন হবে বনানীতে সামরিক কবরস্থানে। রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জাতীয় পার্টির নেতা মোস্তাফিজার রহমানসহ স্থানীয় নেতারা রংপুরে এরশাদকে কবর দেওয়ার দাবি করেন।

সারাবাংলা/পিটিএম

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন