বিজ্ঞাপন

বিএনপি হালুয়া-রুটির রাজনীতি করে: তথ্যমন্ত্রী

July 17, 2019 | 7:15 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: আওয়ামী লীগের কাছে রাজনীতি দেশসেবার ব্রত বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিপরীতে বিএনপির রাজনীতি হালুয়া-রুটির ব্রত বলে মন্তব্য করেন তিনি। হাছান মাহমুদ এসময় বলেন, অনেকগুলো কাক নিয়ে জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করেছিলেন। চট্টগ্রাম শহরের রাস্তায় সকালে হালুয়া-রুটি ছিটিয়ে দিলে কাকের কিন্তু অভাব হয় না। তেমনিভাবে হালুয়া-রুটি ছিটিয়ে বিএনপি গঠন করা হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান রীমা কনভেনশন সেন্টারে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের যুগপূর্তিতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

রাজনীতিতে পরিস্থিতি বদলায় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগ-পর্যন্ত কেউ ভাবতে পারেনি, বঙ্গবন্ধুকে কেউ এভাবে হত্যা করতে পারে। সুতরাং পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আছি বলে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই যে, দিন সবসময় এমন যাবে। তাই যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। রাজনীতি একটি ব্রত, দেশসেবার ব্রত। আওয়ামী লীগের কর্মীদেরও রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিতে হবে।’

সুযোগসন্ধানীদের দলীয় পদে না বসানোর আহ্বান জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দল পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায়। দলে সুযোগসন্ধানী, অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের কারণে দলের বদনাম হচ্ছে। দলে সুযোগসন্ধানীর দরকার নেই। আমাদের সেই কর্মী দরকার, যারা দলের জন্য অন্তঃপ্রাণ।’

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় নেতাদের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় নেতা হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দল করার অধিকার সবার আছে, কিন্তু পদ পাবার অধিকার সবার নেই। দলকে অনেকেই সমর্থন করতে পারে, কিন্তু তাদের পদ পাবার অধিকার নেই। সেই অধিকার আছে শুধু দলের ত্যাগী কর্মীদের।’

এছাড়া, কুমিল্লায় বিচারকের সামনে আসামিকে খুনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদ (রহুল কবির রিজভী আহমেদ) বলেছেন- কুমিল্লায় বিচারকের সামনে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেটা নাকি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি। আমার ভয় হয়, কখন তিনি স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বানিয়ে ফেলেন। বাস্তবে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের সমর্থন ছাড়া আমরা একদিনও রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে চাই না। শেখ হাসিনা জনগণের পাশে আছেন। সেজন্য জনগণও তার পাশে আছে। শেখ হাসিনার কারণেই দল পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে।’

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনাকে বারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আনা উচিৎ মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার হাতে না থেকে দেশ যদি জেলখানায় যিনি আছেন (বেগম খালেদা জিয়া) তার হাতে যায়, তাহলে দেশ আবারও দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবে। দেশ আবার পথ হারাবে।’

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব ‍উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির ‍উদ্দীন, সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, সুনীল সরকার ও ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল বক্তব্য রাখেন।

সারাবাংলা/আরডি/এনএইচ

বিজ্ঞাপন

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন