বিজ্ঞাপন

ঢাকা ও চট্টগ্রামের নদী রক্ষায় সরকারের মাস্টারপ্ল্যান

July 21, 2019 | 1:49 pm

ঢাকা: ঢাকা ও এর আশেপাশের নদীসহ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, হালদা নদীর দূষণ রোধ, দখলমুক্ত এবং নাব্যতা বৃদ্ধি মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি। ঢাকার চারপাশের নদী ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ অন্যান্য নদীর দূষণ ও দখলরোধ করার মাস্টারপ্ল্যান বিষয়ে জানাতে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় মন্ত্রী আরও জানান, মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে আগামী দুই বছরে ঢাকার চারপাশে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু এবং ধলেশ্বরীসহ বাকি নদীগুলোকে দখল এবং দূষণমুক্ত করা, নাব্যতা বৃদ্ধি হবে সরকারের প্রধান কাজ। এরপর পাঁচ বছর এবং পরবর্তীতে দশ বছরের জন্য প্ল্যান করা হয়েছে নদীর নাব্যতা রোধ করাসহ পুরোপুরিভাবে সবগুলো নদীকে দখল এবং দূষণমুক্ত করতে। আর এটাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বড় চ্যালেঞ্জ।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দূষণমুক্ত ও দখল রোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির বিষয়ে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানে ২৪টি মূল কার্যক্রম এবং এর আওতাধীন ১৮০টি সহযোগী কার্যক্রম চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কার্যক্রম ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া চট্টগ্রামের কর্নফুলী ও হালদা নদীর দূষণ, দখলমুক্ত করা ও নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যানে ৪৫টি মূল কার্যক্রম এবং ১৬৭টি সহযোগী কার্যক্রম চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোও ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।

বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য বহুমাত্রিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এরইমধ্যে নৌ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের কাজ করে যাবে। কারণ নদীগুলো রক্ষা করতে না পারলে বাংলাদেশ উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় যেতে পারবে না।

এসময় রাজধানী ঢাকার জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা অল্প সময়ের মধ্যেই কমানো সম্ভব নয় । দীর্ঘদিনের অনিয়মের কারণে এই শহরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ এএইচএইচ/ওএম/এনএইচ

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন