বিজ্ঞাপন

হামলাকারীদের ২১ আগস্ট রাতেই পালাতে দেয় বিএনপি

February 7, 2018 | 6:47 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: একুশে আগস্ট ভয়াল গ্রেনেড হামলাকে ‘পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন ভয়াবহ নিষ্ঠুর হামলা’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, ‘সেই সময়ে ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিরোধী দল নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করেছিল। গ্রেনেড হামলার পর তারা যখন জানতে পারে আমি বেঁচে আছি, তখন সেই রাতেই হামলাকারী তাজউদ্দিনসহ আরও কয়েকজনকে দেশ থেকে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। ভয়াবহ এই হামলা মামলাটি মোট ২২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’

জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থোপন করেন সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ও গ্রেনেড হামলায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে বেঁচে থাকা বেগম নাসিমা ফেরদৌসী।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সেই সময়ের ক্ষমতাসীন দল রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিরোধী দল চিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করেছিল। এই হামলায় মহিলা লীগ নেত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। আহত শত শত দলীয় নেতা-কর্মী দুঃসহ সেই স্মৃতি আজো শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছে।’

সংসদ নেতা বলেন, ‘এই মামলাটি বর্তমানে রায় দেওয়ার পূর্ববর্তী ধাপ অর্থাৎ যুক্তি-তর্ক পর্যায়ে রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি-তর্ক ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫২ জন আসামির মধ্যে ১৮ জন আসামির যুক্তি-তর্ক শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট আসামিদের যুক্তিতর্ক শেষ হলেই এই মামলার রায়ের দিন ধার্য করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভার একজন উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ও তার ভাই মোহাম্মদ তাজউদ্দিন এই মামলার অন্যতম আসামি। গ্রেনেড হামলা চলাকালে টিয়ার সেল ছুঁড়ে হামলাকারীদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করা হয়।’

গ্রেনেড হামলার পর যখন জানতে পারে আমি বেঁচে আছি, তখন সেই রাতেই তাজউদ্দিনসহ আরও কয়েকজনকে দেশ থেকে বিদেশে যাবার সুযোগ করে দেওয়া হয়। যেখানে গ্রেনেড হামলা হয়, সেই স্থানের সকল আলামত পরদিনই সরিয়ে ফেলা হয় ও রাস্তা ধুয়ে ফেলে অন্যান্য আলামতও নষ্ট করা হয়। ’

গ্রেনেড হামলার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন গ্রেনেড হামলা মামলার প্রকৃত আসামিদের আড়াল করা জন্য তথাকথিত জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে চার্জশিট দাখিল করে। পরবর্তীকালে জানা যায়, জজ মিয়াকে এই নাটকে অংশ নেওয়ার জন্য তাকে বেশ কিছুদিন মাসিক ভাতাও দেওয়া হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ৬১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে যেনতেনভাবে তদন্ত সম্পন্ন করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত শেষে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকল আসামিদের অন্তর্ভূক্ত করে চার্জশিট প্রদান করে। ২০১৪ সাল থেকে আরও ১৬৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এভাবে মোট  ২২৫ জন সাক্ষীর  সাক্ষ্য গ্রহণ করে মামলাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এইচএ/এমএস/আইজেকে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন