বিজ্ঞাপন

মরুভূমি থেকে উঁচিয়ে আছে বিশাল হাত, মরীচিকা নাকি ভাস্কর্য?

August 16, 2019 | 6:05 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দূর থেকে দেখলে মনে হতে পারে চোরাবালিতে ডুবে গিয়ে কেউ যেন হাত উঁচু করে সাহায্যের জন্য ডাকছে।  তবে একটু এগিয়ে কাছে গেলে চোখে পড়ে ‘মানো ডেল ডেসিয়ারটো’ বা ‘হ্যান্ড অব দ্য ডেজার্ট’ ভাস্কর্য। মাটির নিচে থেকে বেরিয়ে আসা হাতের পাঁচটি আঙুল।
দীর্ঘ এই হাতটির উচ্চতা ৩৬ ফুট (১১ মিটার)। লম্বায় ফুটবল মাঠের গোল পোস্টের চেয়ে বড় এবং প্রায় একটা স্কুল বাসের সমান। চিলির অ্যান্তোফাগাস্তা শহর থেকে ৪৬ মাইল দূরে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে।
চিলির ভাস্কর মারিও ইরারাজাবালকে ভাস্কর্য তৈরি করতে বলা হলে তিনি এটি নির্মাণ করেন। অ্যান্তোফাগাস্তা করপোরেশন এটির অর্থায়ন করেন।
তবে কি অর্থে এই বিশাল ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে তা পরিষ্কার না অনেকের কাছে। কেউ বলছেন এই ভাস্কর্য দিয়ে প্রকৃতির প্রতি বিনয়ী হতে বলা হয়েছে। আবার অনেকে মনে করছেন এই ভাস্কর্য দিয়ে বোঝানো হয়েছে সব বৈষম্যের বিরুদ্ধে মানুষের উত্থানকে।
শুষ্ক, অনুর্বর ও খর এলাকা চিলির আতাকামা মরুভূমি। ভিন্ন গ্রহের মতো এই ভূপ্রকৃতিক দেখতে মঙ্গলের মতো।
মেরু অঞ্চলের বাইরে সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমি এটা এবং ৪০ হাজার ৫০০ বর্গ কিলোমিটারের এই বিশাল এলাকায় যতদূর চোখ পড়ে লাল ও কমলা রঙের বিস্তীর্ণ ভূমি।
চাঁদের মতো এবড়ো থেবড়ো পাহাড়ি ভূমি হওয়ায় নাসা এখানে মঙ্গল মিশনে পাঠানো রোভারের পরীক্ষা নিরিক্ষা চালায়। রাতের বেলা আকাশভরা নক্ষত্রমণ্ডলি এখানে বিচিত্র দৃশ্যের সৃষ্টি করে।
মরুভূমির মধ্য দীর্ঘপথে চলতে গিয়ে পরিচিত চালকের কাছেও অপরিচিত মনে হতে পারে। অতিরিক্ত মরিচীকার কারণে পথ ভুল করতে পারে পরিচিত পথিকও।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন