বিজ্ঞাপন

রাঙ্গামাটিতে সড়কে ধস ঠেকাতে হচ্ছে রিটেইনিং ওয়াল

August 20, 2019 | 6:11 am

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বর্ষা মৌসুমে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ সচল রাখতে রাঙ্গামাটির ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর বিভিন্ন অংশে আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে রাঙ্গামাটি সড়ক বিভাগের অধীন ‘পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ড্রেনসহ স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ’ নামের একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এতে খরচ ধরা হয়েছে ২৪৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পটি প্রস্তাব পাওয়ার পর এ বছরের ৩ মার্চ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়েছে। ফলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) মঙ্গলবারের (২০ আগস্ট) বৈঠকে ডিপিপিটি উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছে- ৩ লাখ ২৯ হাজার ৮০৬ ঘনমিটার সড়কে মাটির কাজ, ৬ হাজার ২২৫ মিটার আরসিসি সসার ড্রেন নির্মাণ, এক হাজার ৫১০ মিটার আরসিসিইউ ড্রেন নির্মাণ, ৭২ হাজার ১৫০ বর্গমিটার কংক্রিট স্লোপ প্রোটেকশন উইথ জিও টেক্সটাইল এবং ২ হাজার ৬৪৮ মিটার আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ।

এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত ছয়টি সড়ক রাঙ্গামাটি সড়ক বিভাগের অধীন সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা মহাসড়ক। এ ছয়টি মহাসড়কের মধ্যে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি জাতীয় মহাসড়ক চট্টগ্রামসহ সারাদেশের সাথে রাঙ্গামাটিকে যুক্ত করেছে। এছাড়া রাঙ্গামাটি-মানিকছড়ি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়ক খাগড়াছড়ির সাথে এবং ঘাগড়া-চন্দ্রঘোনা-বান্দরবান সড়ক বান্দারবানের সাথে রাঙ্গামাটি যুক্ত হয়েছে। এর বাইরে বগাছড়ি-নানিয়ারচর-লংগদু ও বাঙ্গালহালিয়া-রাজস্থলী সড়ক যথাক্রমে নানিয়ারচর ও লংগদু এবং রাজস্থলী উপজেলাকে রাঙ্গামাটি শহরের সাথে যুক্ত করেছে। রাঙ্গামাটি শহরের সংযোগ সড়কগুলো শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোকে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি জাতীয় মহাসড়ক এর সাথে যুক্ত করেছে।

বিজ্ঞাপন

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৭ সালের প্রবল বর্ষণে রাঙ্গামাটির ১২৮টি স্পটে মহাসড়ক মারাত্বকভাবে বিধ্বস্ত হয় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এছাড়া ২০১৮ সালের জুনে আরও ২৩টি স্পট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি জাতীয় মহাসড়কের ৬১তম কিলোমিটারে সাপছড়ি নামক স্থানে ৫০ মিটার সড়ক এবং রাঙ্গামাটি-মানিকছড়ি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের ষষ্ঠ ও সপ্তম কিলোমিটারে যথাক্রমে ২৫ মিটার ও ৩৫ মিটার সড়ক সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়। আপাতত অস্থায়ীভাবে কাজ সম্পন্ন করে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে। তবে এই সড়কগুলোতে স্থায়ীভাবে কাজ করা না হলে স্পটগুলো মারাত্বক ক্ষতির মুখে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিস পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে রাঙ্গামাটি জেলার উন্নয়নে নিরাপদ, টেকসই ও ব্যয়সাশ্রয়ী সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে এবং এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন