বিজ্ঞাপন

নড়াইলের দায়রা জজকে ফৌজদারি মামলার বিচার থেকে বিরত রাখার নির্দেশ

August 29, 2019 | 7:12 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কলেজছাত্র এনামুল হত্যা মামলার প্রধান আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন না করে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদের বিচারিক ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

আদেশে আদালত বলেছেন, তিনি (শেখ আব্দুল আহাদ) একবছর ফৌজদারি মামলায় বিচার কাজ পরিচালনা করতে পারবেন না। এবিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ে এ নির্দেশ দেন।

পাশাপাশি আদালত হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করে নিম্ন আদালতের আদেশ বাতিল করেছেন। হাইকোর্ট বলেছেন, অভিযোগ গঠনের বিষয়ে পুনরায় শুনানি করতে হবে। এছাড়া মামলার প্রধান আসামি মল্লিক মাঝহারুল ইসলামের জামিন বহাল রেখেছেন আদালত। তবে অপ্রয়োজনীয়ভাবে সময়ের আবেদন করলে জামিন বাতিল হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আদালতে আসামি মল্লিক মাঝহারুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এএম আমিনউদ্দিন ও রবিউল আলম বুদু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। অপরপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন লিপু।

এর আগে হাইকোর্ট মামলার বাদী নিহতের ভাই নাজমুল হুদার করা আবেদনে গত ৭ জুলাই এক আদেশে মামলার প্রধান আসামি মল্লিক মাঝহারুল ইসলামকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে জেলা ও দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদের বিচারিক ক্ষমতা কেন প্রত্যাহার করা হবে না সে বিষয়ে বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চান।

হাইকোর্টের এ আদেশের পর সংশ্লিষ্ট আসামি নড়াইল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাকে জামিন দেন।

বিজ্ঞাপন

নড়াইল আদালতের দেওয়া এই জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

এদিকে গত ৭ জুলাইয়ের আদেশের পর সংশ্লিষ্ট বিচারক শেখ আব্দুল আহাদ লিখিতভাবে হাইকোর্টকে ব্যাখ্যা দেন। ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন, ‘উভয়পক্ষের শুনানি ও নথি পর্যালোচনা করে আদেশ দেওয়া হয়। উক্ত আদেশটি সঠিকভাবে প্রচারিত হয়নি এবং তা আইনসঙ্গতও নয় এবং আইনি নীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন মর্মে মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ সদয় হয়ে আদেশ দিয়েছেন। এই ভুলের জন্য নিঃশর্তভাবে ক্ষমা প্রার্থী। ভবিষ্যতে এরূপ ভুল না করার জন্য সতর্ক থাকব।’

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নড়াইলের কালিয়ার চন্ডিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এনামুল নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরদিন মল্লিক মাঝহারুল ইসলাম ওরফে মাঝাসহ ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে নিহতের ভাই নাজমুল হুদা কালিয়া থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় চলতি বছরের ১০ জুন নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মামলার প্রধান আসামি মাঝার নাম বাদ দিয়ে অভিযোগ গঠন করেন। এরপর বিচারিক আদালতের ওই আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন নিহত এনামুলের ভাই নাজমুল হুদা। পরে বিষয়টি হাইকোর্টে আসে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন