বিজ্ঞাপন

‘আ.লীগ একদিন মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হবে’

August 30, 2019 | 8:34 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: গুম-খুনের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার একদিন মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এনফোর্স ডিজএপিয়ারেন্স সম্পূর্ণরুপে মানবতাবিরোধী একটা অপরাধ। জাতিসংঘের চাটার্ডে পরিষ্কার করা হয়েছে- দিস ইজ এ ক্রাইম এগেনেস্ট হিউম্যানেটি। এই সরকার অভিযুক্ত হবে ক্রাইম এগেনেস্ট হিউম্যানেটির জন্যে।’

তিনি বলেন, ‘একদিন না একদিন এই মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্যে বিচার হবেই। আজকে বাংলাদেশে গণতন্ত্রহীনতা আছে, জনগণের প্রতিনিধি নেই। সত্যিকার অর্থে যেদিন জনগণের প্রতিনিধির সরকার গঠিত হবে, সেইদিন এর বিচার অবশ্যই হবে।’

বিজ্ঞাপন

নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের পাশে বিএনপি থাকবে— এমন অঙ্গীকার ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইলিয়াস আলীর ছোট মেয়ে আমাদের সামনে আজ আসেনি। আসেনি এজন্য যে, সে অত্যন্ত বিব্রতবোধ করে, কষ্ট পায়।’

তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান গতকাল পরামর্শ দিয়েছেন, আমাদের দলের যারা গুম হয়েছেন, গুম দিবসে যথা সম্ভব তাদের বাসায় যাওয়ার চেষ্টা যেন করি। ইলিয়াস আলীর বাসাসহ আমি চারটি বাসায় গিয়েছি। আমাদের অন্যান্য নেতা ঢাকা শহরে যারা আছেন তাদের বাসায় গেছেন। গুম হওয়া পরিবারের সঙ্গে আমরা সব সময় যোগাযোগ রাখি, চেষ্টা করি তাদের পাশে দাঁড়ানোর। তাদের কষ্ট আমরা ভাগ করে নিতে পারি না, কিন্তু তাদের কষ্টটা আমরা অনুভব করি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে আমি দক্ষিণখানে গিয়েছিলাম ছাত্রনেতা তারিকুল ইসলাম ঝুন্টুর বাসায়। তার মা বলছিলেন, আমার এই ছেলেটা ছিলো সবচেয়ে ভালো ছেলে। অনার্সে ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছিল। আমাকে সালাম না করে কোনোদিন ঘুমোতে যেত না। সেই ছেলে গুম হয়ে গেছে। কিছুদিন পরে ছেলের বাবা অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।’

বিজ্ঞাপন

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘নিজামুদ্দিন মুন্নার বাসায় গিয়েছিলাম। অনেক কষ্ট করে এই ছেলেটি বিএ পাস করেছিল। তার বাবা এমন কোনো জায়গা নাই— যাননি। ভারতেও গেছেন। বহু জায়গায় গিয়ে ছেলেকে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বাবা অসুখে মারা গেছেন। এখন অনেক পরিবার আছে যারা অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে আছেন। আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করছি তাদের পাশে দাঁড়ানোর।’

ইলিয়াস আলী, নিজামুদ্দিন মুন্না ও তারিকুল ইসলাম ঝন্টুর বাসা ছাড়াও নাখালপাড়ায় সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, শহিদুল ইসলাম বাবুল, ব্যারিস্টার ফারজানা শারমিন, এসএম জাহাঙ্গীর, শায়রুল কবির খান, সাহাবুদ্দিন সাগর, আলী আকবর আলী, জুলহাস পারভেজ, মুনির হোসেন, আফাজউদ্দিন তার সঙ্গে ছিলেন।

এছাড়া বিএনপির কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বংশালে মো. সোহেল, জহিরুল ইসলাম জহির, পারভেজ হোসেন, মো. চঞ্চল, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সূত্রাপুরের খালিদ হোসেন সোহেল, সেলিম রেজা পিন্টু, সম্রাট মোল্লা এবং সেলিমা রহমান সবুজবাগে মাহবুব হাসান সুজন ও কাজী ফরহাদ হোসেনের বাসায় গিয়ে তাদের পরিবারের খোঁজ-খবর নিয়েছেন বলে সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেসউইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন