বিজ্ঞাপন

৩ হাজার ৬৩১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা ঢাকা দক্ষিণ সিটির

September 1, 2019 | 4:10 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছেন সংস্থাটির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাজেট ঘোষণা করেন মেয়র।

মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ডিএসসিসি থেকে পরিচালিত প্রায় ৪৪টি সেবা খাত পরিচালনার জন্য ৩ হাজার ৬৩১ কোটি ৪০ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করছি।

মেয়র বলেন, এবার আমাদের বাজেটের মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৩২ কোটি টাকা বাড়িয়ে ধরা হয়েছে। রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৯৭২ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং সরকারি ও বৈদেশিক সহায়তামূলক প্রকল্প থেকে ২ হাজার ৪৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। অন্যান্য আয় থেকে ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, এবারের বাজেটের পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৬২৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা এবং অন্যান্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩  কোটি ৫০ লাখ টাকা। আর মোট উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৮৯৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

এবার বাজেটের উল্লেখযোগ্য খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে— বেতন ভাতা বাবদ ৩৫০ কোটি, সড়ক ও ট্রাফিক অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন খাতে ৮৯৬ কোটি ৭৪ লাখ; বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানি ও গ্যাস বাবদ ৭৯ কোটি; মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ৩৩ কোটি ৩৫ লাখ; মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাবদ ৪৩ কোটি ৩০ লাখ; বিভিন্ন মালামাল, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সরবরাহ বাবদ ৩২ কোটি ১৭ লাখ; ভাড়া, রেটস ও কর খাতে ৭ কোটি; কল্যাণমূলক ব্যয় বাবদ ৪৪ কোটি ৪০ লাখ; বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বাবদ ৬ কোটি ৫০ লাখ; বিভিন্ন সংস্থার ফি বাবদ ১২ কোটি ৫০ লাখ; কবরস্থান/শশ্মানঘাট সংস্কার ও উন্নয়ন খাতের জন্য ৮০ কোটি ৬৭ লাখ; নাগরিক বিনোদনমূলক সুবিধাদি উন্নয়ন খাতে ২৭১ কোটি ৩০ লাখ; ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নয়ন/ রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ৫২৬ কোটি ৯৭ লাখ; পরিবেশ উন্নয়ন খাতে ১৫১ কোটি ৯৯ লাখ; বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় সংস্কার খাতে ১৫ কোটি; মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ কার্যক্রম বাবদ ২০ কোটি; বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ১৫ কোটি; অপ্রত্যাশিত উন্নয়ন ব্যয় খাতে ৫ কোটি; প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন সংস্থার চাঁদা বাবদ ৪ কোটি ১০ লাখ; ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন খাতে ৫১৫ কোটি; পাবলিক টয়লেট নির্মাণ বাবদ ৩ কোটি; ল্যান্ডফিল রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন বাবদ ৯৮ কোটি ৪৯ লাখ; বাস্তবায়িত প্রকল্পের বকেয়া ম্যাচিং ফান্ড বাবদ ২০১ কোটি; নতুন বাজার নির্মাণ বাবদ ২০০ কোটি; জবাইখানা নির্মাণ বাবদ ৪৫ কোটি; পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাস নির্মাণ বাবদ ৭৫ কোটি ৭৭ লাখ; মাতৃসদন খাতে ১ কোটি এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিশেষ উদ্যোগ খাতে ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

নতুন বাজেটের উদ্দেশে মেয়র বলেন, যানজট নিরসন, বাস রুট র‌্যাশনলাইজেশন, কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর, বঙ্গবন্ধু জলবায়ু উদ্বাস্তু আশ্রয় কেন্দ্র, বিনামূল্যে দাফনের ব্যবস্থা, জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি অনুষ্ঠান, জলসবুজে ঢাকা প্রকল্প, আধুনিক জবাইখানা নির্মাণ, এসটিএস নির্মাণ, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবান করা হচ্ছে। বিগত চার বছরে আমরা যা করেছি, তা কয়েক দশকেও হয়নি। ৯০ ভাগ সড়কের উন্নয়ন করা হয়েছে। শতভাগ এলইডি লাইট লাগানো হয়েছে, যা উপমহাদেশে আমরাই প্রথম করেছি।

বিজ্ঞাপন

ডেঙ্গুতে যারা মারা গেছেন এবং আক্রান্ত হয়েছেন, সংবাদ সম্মেলন শেষে তাদের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

বাজেট ঘোষণা শেষে সাংবাদিকরা বলেন, এখনো ঢাকা দক্ষিণ সিটির কিছু সড়কের অবস্থা বেহাল। এসময় মেয়র বলেন, এমনটি হওয়ার কথা নয়। দুয়েকটি জায়গার নাম বলুন। তখন ওই সাংবাদিক কয়েকটি জায়গার নাম বললে সেখানে উপস্থিত ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ডালী সত্য বলে জানান।

ওই এলাকার সড়কের এ অবস্থার কারণ মেয়র জানতে চান সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফি উল্লাহর কাছে। তিনি এ বিষয়ে কোনো উত্তর দিতে পারেননি। পরে তাকে উপস্থিত সবার সামনে শোকজ করার কথা বলেন মেয়র। সড়কগুলোও যেন দ্রুত সংস্কার করা হয়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।

বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদার, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা খাদেমুল করিম ইকবাল, সিস্টেম অ্যানালিস্ট কর্মকর্তা রোকুনুজ্জামান, জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়সহ অন্যরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচ/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন