বিজ্ঞাপন

বিএনপিকে বিলীন করে দিতে কাজ করছে সরকার: মির্জা ফখরুল

September 12, 2019 | 6:28 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে পরিকল্পিতভাবে বিলীন করতে সরকার কাজ করছে—  এমন অভিযোগ তুলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

এর আগে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না, করলে বিএনপির অস্তিত্ব থাকত না।’

প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুধু বিএনপি নয়, বাংলাদেশে যেন বিরোধী দলই না থাকে, ভিন্নমত না থাকে, বিলীন হয়ে যায়— সে জন্য অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করছে সরকার। এ দেশে ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। একইভাবে আজ ভিন্ন কায়দায় একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হচ্ছে, প্রতিষ্ঠা করা হয়ে যাচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- খালেদার মুক্তির দাবিতে বিএনপির ১২ দিনের কর্মসূচি

খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন ফিরিয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এই সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে রাষ্ট্রবিরোধী কিছু ভূমিকা পালন করছে। সেই ভূমিকার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জুডিশিয়ারির ইন্ডিপেন্ডেস (বিচার ব্ভিাগের স্বাধীনতা) লঙ্ঘন। এই ইন্ডিপেন্ডেস এখন নিম্ন আদালতে নেই, উচ্চ আদালতও ইনফেসড হচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আদালতে আইনের চোখে যে সবাই সমান, এটাও এখানে রক্ষা করা হচ্ছে না। একই ধরনের মামলায় অন্যরা জামিনে আছেন। অথচ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। এটা খুব পরিষ্কার, দেশনেত্রীর বিষয়টি তারা সম্পূর্ণ দলীয়করণের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে তারা দলীয়করণ করেছে।’

বিজ্ঞাপন

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্থায়ী কমিটি থেকে শুরু করে বিএনপি নেতাদের একজনও নেই যাদের বিরুদ্ধে ৪০/৫০/১০০টা মামলা নেই। আমরা ঠিক বুঝি না, এটাকে কিভাবে গণতান্ত্রিক স্টেট বলবেন? কোনো সুযোগ নেই বলার। পৃথিবীর ইতিহাসে কি এমন কোনো গণতান্ত্রিক দেশ আছে, যেখানে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৫০/৬০/১০০টা মামলা এবং দলের চেয়ারপারসন তার বিরুদ্ধে ৩৬টা মিথ্যা মামলা?’

‘আমরা দেখেছি যে একজন চিফ জাস্টিসকে কিভাবে এ দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, আমরা দেখেছি। একটি মামলায় আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে খালাস দিয়েছিলেন একজন বিচারক, তাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে,’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে ভিন্নমত পোষণ করা যাবে না। গণতান্ত্রিক দেশে বাবা একটা রাজনীতি করতে পারেন, আমি আরেকটা রাজনীতি করতে পারি। ছাত্র জীবনে আমি এক রাজনীতি করেছি, আমার বাবা আরেক রাজনীতি করেছেন। কখনো সমস্যা হয়নি। না আমার বাবার হয়েছে, না আমার হয়েছে।’

‘এখন তো ছেলে বিপদে পড়ে যাবে তার বাবা যদি আওয়ামী লীগ করে থাকেন, আর ছেলে বিএনপি অথবা ছাত্রদল করে থাকে,’— বলেন মির্জা ফখরুল।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘এখন গোটা বাংলাদেশ ও সমাজকে বিভক্ত করে ফেলা হয়েছে। ডিভাইডেড সোসাইটি। এমন একটা অবস্থা হয়েছে যে ভিন্ন দল করলে এখন কেউ কারও বাসায় যেতে চায় না, ছেলে-মেয়েদের বিয়ে তো দূরের কথা।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, হারুনুর রশীদ, আবদুস সালাম, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, হাছিন আহমেদ, সাদেক আহমেদ খান, আবদুল হালিম, সুলতানা আহমেদ, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, শাহ নেছারুল হক, নজরুল ইসলাম মজুমদার, মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, আবুল কালাম আজাদ ও মজিবুর রহমান।

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন