বিজ্ঞাপন

‘মিয়ানমারের তৈরি সমস্যার বোঝা বইছে বাংলাদেশ’

September 28, 2019 | 5:39 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

মিয়ানমারের তৈরি একটি সমস্যার বোঝা বাংলাদেশ বহন করে চলেছে বলে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে দেওয়া নিজের ভাষণে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ মিয়ানমার এবং তার নিজস্ব নাগরিক রোহিঙ্গাদের মধ্যকার একটি সমস্যা। তাদের নিজেদেরই এর সমাধান করতে হবে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, সুরক্ষিত ও সম্মানের সঙ্গে স্বেচ্ছায় রাখাইনে নিজ গৃহে ফিরে যাওয়ার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।‘

বিজ্ঞাপন

নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ২৮ মিনিটে, বাংলাদেশ স্থানীয় সময় শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টা ২৮ মিনিটে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

আরও পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

রোহিঙ্গা সংকট তৃতীয় বছরে পা দিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখনও এর কোনো সমাধান না হওয়ায় জাতিসংঘের এবারের অধিবেশনেও তাকে বিষয়টি উত্থাপন করতে হচ্ছে। যা দুঃখজনক। তিনি বলেন, প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে এখনও বসবাসের উপযোগী পরিবেশ তৈরি না হওয়ায় এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও নিজ দেশে ফিরে যায়নি। এই সমস্যা এখন আর বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি এখন আঞ্চলিক নিরাপত্তার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সম্পন্ন করতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের আলাপ-আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আমি এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কফি আনান কমিশনের সুপারিশসমূহের পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং রাখাইন প্রদেশে বেসামরিক তত্ত্বাবধানে সুরক্ষা বলয় প্রতিষ্ঠাসহ পাঁচ-দফা প্রস্তাব পেশ করেছিলাম। আজ আমি কিছু প্রস্তাব আবার পেশ করছি:

১। রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন এবং আত্মীকরণে মিয়ানমারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক সদিচ্ছার পূর্ণ প্রতিফলন দেখাতে হবে।

বিজ্ঞাপন

২। বৈষম্যমূলক আইন ও রীতি বিলোপ করে মিয়ানমারের প্রতি রোহিঙ্গাদের আস্থা তৈরি করতে হবে এবং রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের উত্তর রাখাইন সফরের আয়োজন করতে হবে।

৩। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হতে বেসামরিক পর্যবেক্ষক মোতায়েনের মাধ্যমে মিয়ানমার কর্তৃক রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।

৪। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবশ্যই রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণসমূহ বিবেচনায় আনতে হবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অন্যান্য নৃশংসতার দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেওয়ার সময় তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অধিবেশনস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে নিজের বক্তব্যের শুরুতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনের সভাপতি ও জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি স্মরণ করেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও।

সারাবাংলা/এনআর/এসএমএন/এসএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন