বিজ্ঞাপন

পাকিস্তানের সিনিয়ররা মডার্ন ক্রিকেটের জন্য আনফিট

February 11, 2018 | 5:31 pm

সারাবংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার পরও পাকিস্তানি ছাত্রদের ফিটনেস নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কোচ মিকি আর্থার। এবার একই কথা জানালেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নাজাম শেঠি। তার মতে, পাকিস্তানের একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটার মডার্ন ক্রিকেটের জন্য আনফিট।

নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডেতে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের সবক’টিতেই হেরেছিল পাকিস্তান। ওয়ানডেতে হারের প্রতিশোধ তুলেছে টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের সিরিজ হারিয়ে। সিরিজ জেতার পাশাপাশি টি-টোয়েন্টির র‌্যাংকিংয়ে নিজেদের শীর্ষে তুলেছে পাকিস্তান।

নাজাম শেঠি জানান, ‘আমাদের এখন প্রধান লক্ষ্যই হলো ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আমরা এখন থেকেই সেটার জন্য প্রস্তুতি শুরু করবো। কিন্তু দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা ওয়ানডে ম্যাচের জন্য ফিট নয়। আধুনিক ক্রিকেটের অনেক কিছুতেই তাদের ঘাটতি আছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও যোগ করেন, ‘পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) আমাদের টি-টোয়েন্টিতে বেশ ভালো সাহায্য করছে। কিন্তু আমাদের ওয়ানডে আর টেস্টকে ভুলে গেলে চলবে না। এই দুই ফরম্যাটের জন্য অবশ্যই আমাদের আরও কাজ করা জরুরি। খুব সম্ভবত সিনিয়রদের এটা নিয়ে ভাবতে হবে, কাজ করতে হবে আর সর্বোপরি হারানো ফিটনেস ফিরিয়ে আনতে হবে।’

এদিকে, কোচ আর্থারের নাখোশ হওয়ার যথেষ্ট কারণও আছে। নিউজিল্যান্ড সফরের আগে পাকিস্তান খেলেছিল গত বছরের অক্টোবরে। সেবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ খেলে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি। কিছু ক্রিকেটার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেছেন। কয়েকজন খেলেছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। তাদের মধ্যে অল্প কিছু ক্রিকেটার খেলেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টেন লিগে। ৫০ ওভারের ওয়ানডেতে তাদের কেউই খেলেননি।

পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থার জানিয়েছিলেন, ‘আমি মনে করি কিউইদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলোয়াড়দের ফিটনেস লেভেল সন্তোষজনক ছিল না। খেলোয়াড়রা ফিটনেস লেভেলের দিকে সেভাবে লক্ষ্য রাখতে পারেনি। জাতীয় দল থেকে খেলোয়াড়রা প্রায় পাঁচ সপ্তাহ বাইরে ছিল। ফেরার পর তাদের শারীরিক এবং টেকনিক্যাল দিকগুলো খুবই খারাপ অবস্থায় পেয়েছি।‘

বিজ্ঞাপন

পাকিস্তানের কোচ আরও বলেছিলেন, ‘বর্তমান ক্রিকেটাররা বিভিন্ন লিগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে খেলেছে। অবশ্যই আমি চাই, খেলোয়াড়রা সেখান থেকে বাড়তি টাকা আয় করুক। কিন্তু আমাদের পরিকল্পনার ব্যাপারটা তাদের মাথায় রাখতেই হবে। বিভিন্ন জায়গা থেকে খেলে ফেরার পর তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদাভাবে কাজ করতে হয়েছে, কারণ তাদের প্রত্যেকের অবস্থাও আলাদা ছিল।’

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন