ইসলামপুরে অভিযানে ৭৫ টন বন্ডেড চোরাই ফেব্রিকস আটক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পুরান ঢাকার ইসলামপুর এলাকার বাদশা হাজী আহমেদ কমপ্লেক্স এবং আইটিসি টাওয়ারের বেশকিছু গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ৭৫ টন বন্ডেড চোরাই ফেব্রিকস আটক করেছে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট।

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাতে সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের সহকারী কমিশনার মো. আল আমিন।

মো. আল আমিন জানান, ইসলামপুর এলাকায় অবস্থিত বাদশাহ হাজী আহমেদ কমপ্লেক্স এবং আইটিসি টাওয়ারের বিভিন্ন ফ্লোরের গোপন গুদামে বিপুল পরিমাণ বন্ডেড চোরাই ফেব্রিক্স মজুদ পাওয়া যায়। এসব ফেব্রিকস বিভিন্ন রফতামুখী পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বন্ড সুবিধায় শুল্কমুক্তভাবে আমদানি করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো দিয়ে পোশাক তৈরি করে রফতানির পরিবর্তে অবৈধভাবে ইসলামপুরের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। অভিযানে প্রায় ৭৫টন উন্নতমানের শাটিং ও স্যুটিং কাপড় জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ফেব্রিকের দাম প্রায় ৫ কোটি টাকা।

আল আমিন আরও জানান, এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ইসলামপুরের আল ইসলাম প্লাজা এবং শুভরাজ টাওয়ারের বিভিন্ন ফ্লোরে মোট ৭টি গোপন গুদামে অভিযান চালানো হয়। ওই সময়ও প্রায় ১০৫ টন শাটিং, স্যুটিং ও পর্দার কাপড় জব্দ করে কাস্টমস গুদামে জমা দেওয়া হয়েছে।

বন্ড কমিশনার এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চোরাচালান ও রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে এরই মধ্যে ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ইসলামপুর এলাকার বিভিন্ন পাইকারি মার্কেটে বন্ডেড চোরাই ফেব্রিকস এর বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করে এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘শুধু গোডাউনের মালিক বা ক্রেতা নয়, যে সমস্ত উৎস হতে চোরাই পথে অবৈধভাবে এই সব পণ্য ইসলামপুরে আসে সেসব উৎস বা প্রতিষ্ঠান এবং চক্রকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। এবং দায়ী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবারের অভিযানে নেতৃত্ব দেন কাস্টমস বন্ডের উপ-কমিশনার রেজভী আহম্মেদ, উপ-কমিশনার ফখরুল আমিন চৌধুরী, সহকারী কমিশনার আল আমিন এবং সহকারী কমিশনার আকতার হোসেন। অভিযানে কাস্টমস বন্ডের প্রায় ১০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেয়। এছাড়াও ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ ও সিআইডি পুলিশও অভিযানে সহায়তা করে।

সারাবাংলা/এসজে/পিটিএম