বিজ্ঞাপন

জনসংখ্যা জানার সর্বোত্তম পদ্ধতি জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন

October 6, 2019 | 8:20 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আধুনিক রাষ্ট্রের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য সঠিক জনসংখ্যা ও জনসংখ্যার বয়সভিত্তিক বিভাজন জানা খুবই প্রয়োজন। তাৎক্ষণিকভাবে জনসংখ্যা জানার সর্বোত্তম পদ্ধতি সঠিকভাবে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় আয়োজিত ‘জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সার্বিকভাবে বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধনের হার প্রায় শতভাগ হলেও শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনের হার এখনও সন্তোষজনক নয়। অথচ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই জন্ম নিবন্ধন করা হয়। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী আমাদের দেশেও শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করতে হবে। এ হার বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। এটা করা না হলে শিশুর জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার সুযোগ থাকে। এমতাবস্থায় সমাজে বাল্যবিবাহ, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরীদের শ্রমিক হিসেবে বিদেশ গমণের প্রবণতা বাড়ে।’

জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র করা হয়েছে ১৮ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সীদের জন্য। কিন্তু জন্ম সনদ সবার জন্যই প্রয়োজন। জন্ম নিবন্ধন সনদে শিশুর যাবতীয় তথ্য থাকতে হবে। শিশুটির যখন ১৮ বছর পূর্ণ হবে তখন সে জাতীয় পরিচয়পত্র পাবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় তার নাম উঠবে।’

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, ইউনিয়ন পরিষদ ও বিদেশে অবস্থিত ৫৫টি দূতাবাসসহ মোট ৫১০৭টি নিবন্ধক কার্যালয়ে অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।

স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদেরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) মানিক লাল বনিক, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি প্রতিনিধি মিজ ভিরা মেনডনকা প্রমুখ।

এর আগে দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য এক র‌্যালির আয়োজন করা হয়। র‌্যালিটি সচিবালয় লিঙ্ক রোডের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে কাকরাইলের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, স্কাউটস ও জনসাধারণ অংশগ্রহণ নেয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন