বিজ্ঞাপন

কিংবদন্তি তৈরির পাঠশালা আছে তোমার অপেক্ষায়

February 12, 2018 | 5:14 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ দেখে বাবা মাহবুব হামিদ ছেলেকে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ভর্তি করিয়ে দেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিকমানের খেলোয়াড় তৈরির সেই প্রতিষ্ঠানেই তিলে তিলে গড়ে উঠেন আজকের ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ তকমা পাওয়া মুশফিক। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে যদি একটি পাঠশালা হিসেবে কল্পনা করা হয় তাহলে সে পাঠশালার সবচেয়ে পরিশ্রমী ছাত্র তিনি। নেটে বা মাঠে সূচি আনুযায়ী অনুশীলনের পাশাপাশি ঐচ্ছিক অনুশীলনের দিনগুলোতেও অনুশীলন মিস করেন না তিনি। আর এই অভ্যাস গড়ে তুলেছিলেন বিকেএসপিতেই। তার পরিশ্রমের ফল দেশে কিংবা দেশের বাইরে সবখানেই পেয়েছেন।

শুধু কি মুশফিক, দেশের বাইরে দাপট দেখিয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হয়েছে সাকিব আল হাসান। তিনিও এই বিকেএসপির ছাত্র। বিকেএসপির নাম উজ্জ্বল করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অভিষেক টেস্ট অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়, স্পিনার আবদুর রাজ্জাক। নাঈম ইসলাম, নাসির হোসেন, এনামুল হক বিজয়, মুমিনুল হকরাও বিকেএসপির ছাত্র। আল শাহরিয়ার রোকন, সাব্বির খান, শাহাদাত হোসেন রাজিব, সোহরাওয়ার্দি শুভ, সৌম্য সরকারদের এই প্রতিষ্ঠান থেকেই ক্রিকেটের হাতেখড়ি।

বিজ্ঞাপন

জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম বিকেএসপি’র প্রাক্তন ছাত্র। ফুটবলের কৃতি খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন মো. মাসুদ রানা, হাসান আল মামুন, সোহেল আল মাসুদ, এমিলি, জাহিদ, সবুজ, মোস্তাক, রানা এবং মামুনুল। শুধু ফুটবল আর ক্রিকেট নয়, বিভিন্ন খেলায় জাতীয় দলের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ খেলোয়াড় এই বিকেএসপি থেকে তৈরি হয়ে এসেছেন। কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী শুটার আসিফ হোসেনের নামও বলা যেতে পারে। জিমন্যাস্টিকস বিভাগের কৃতি খেলোয়াড় হিসেবে রয়েছেন আমির আলী। হকি বিভাগের কৃতি খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন মামুনুর রশিদ, জাহিদ হাসান, জিমি, চয়ন, বিপ্লর, আশরাফুল। সাঁতার বিভাগের কৃতি খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন রত্না খাতুন, মাহফুজ খাতুন শিলা, টুম্পা, আরিফুলরা।

এই প্রতিষ্ঠানেই এবার স্বপ্ন পূরণের সুবর্ণ সুযোগ। বিকেএসপির তৃণমূল থেকে খেলোয়াড় বাছাই আর নিবিড় প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে। আগামী ৪ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ২২ মার্চ চলবে বিকেএসপির অনলাইন রেজিস্ট্রেশন।

উল্লেখ্য, বিকেএসপি ১৯৮৬ সালের ১৪ই এপ্রিল ১১৫ একর জায়গা নিয়ে ঢাকার সাভারের জিরাবোতে আনুষ্ঠানিকভাবে পথচলা শুরু করে। এই প্রতিষ্ঠানের একমাত্র উদ্দেশ্যে দেশের জন্য আন্তর্জাতিকমানের ক্রীড়াবিদ তৈরি করা। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি এখানে পড়াশোনাটাও সমানভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়। বর্তমানে খুলনা, দিনাজপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে একটি করে আঞ্চলিক কেন্দ্র রয়েছে। আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতেও পড়াশোনা ও খেলাধুলার সুযোগ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন