বিজ্ঞাপন

‘উইকেট শুধু একটা অজুহাত, হাথুরুর চিন্তাটা নেতিবাচক ছিল’

February 12, 2018 | 8:47 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে হারতে হয়েছে, টেস্টেও মাখতে হয়েছে পরাজয়ের কালিমা। মিরপুরে স্পিনারদের জন্য উইকেট বানিয়ে বাংলাদেশ নিজেদের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠে গেছে। তবে টেকনিকাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন উইকেটের ওপর দোষ চাপাতে চাইছেন না।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে সুজন অনুশীলনের পর সরাসরিই বলেছেন, ‘ যদি উইকেটকে দোষ দিতে হয়, আমাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ৬ উইকেটে ১১০–এর পর যদি ১৪০ রানে অলআউট করতে পারতাম ৭০–৮০ রান কম হতো (শ্রীলঙ্কার) তা হলে কথা ছিল। দিলরুয়ান, আকিলা, লাকমাল বা আমাদের মিরাজের ব্যাটিং দেখেন ওরা তো বোলার। আমাদের ব্যাটসম্যানদের কথা যদি বলি তারা তাদের কাজটা করতে পারেনি। আমরা ভালো খেলি নাই। আমাদের মধ্যে জুজু, উইকেট নিয়ে ভয় বা নেতিবাচক চিন্তা যেটাই হোক সেটা আমাদের মধ্যে কাজ করেছে। উইকেট একটা অজুহাত মাত্র। বোলিং–ব্যাটিং আমরা ভালো করতে পারিনি।’

কিন্তু নিজেদের মাঠে এভাবে টেস্টে হেরে যাওয়ার প্রভাব কতটা বেশি? সুজন অবশ্য টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে আশার বাণীই শোনালেন।

বিজ্ঞাপন

‘টিমের পরিবেশ ভালো। যেটা আগেও ছিল। হারলে যেটা হয় হতাশ হয়ে পড়ে। কেউ হারতে চায় না। এখন আমরা নতুন একটা ফরম্যাটে ঢুকতে যাচ্ছি। এখানে নতুন কিছু মুখ এসেছে। বাংলাদেশ দলে প্রথমবারের মতো কল পেয়েছে পাঁচজন। অনেকে নতুন কিছু আনে। এসব ভুলে গিয়ে ১৫ ও ১৮ তারিখের দুটি খেলায় মনোযোগ দিতে হবে, যেখানে আমাদের ভালো খেলতে হবে। জয়–পরাজয় থাকবেই।’

নামে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হলেও মূলত কোচ হিসেবেই দায়িত্ব পালন করেছেন সুজন। প্রথম পরীক্ষায় কতটা উতরাতে পেরেছেন? যে লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তা কতটা পূরণ হয়েছে? সুজন লড়াইয়ের আভাসই দিলেন।

‘প্রতিদিন সূর্য ওঠে। আমি হতাশ হলেও হতাশ নই! আমার প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। আমি বিশ্বাস করছিলাম এই দলটা নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জেতা সম্ভব। তিন সংস্করণেই চিন্তা করেছিলাম সিরিজ জিতব। খুব আনলাকি সাকিবকে মিস করেছি ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে। টেস্টে সে ছিল না…টি–টোয়েন্টিতেও হয়তো নেই। সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, সাকিব থাকলে দুই জায়গায় কাজটা সহজ হয়ে যায়। এটা কোনো অজুহাত নয়। বাকিদের সামর্থ্য আছে। আমরা চাপটা নিতে পারিনি। ওয়ানডেতেও উইকেট নিয়ে কথা উঠেছে। (ফাইনালে) ২২০ করতে মনে হয় না উইকেট (পিচ) লাগে। আমরা পারিনি। টেস্টে অনেকে বলছে ঘূর্ণি উইকেটে খেলেছি কেন। ভুলে গেছি আমরা বিশ্বমানের স্পিনার নাথান লিওনের বিপক্ষে খেলেছি।’

বিজ্ঞাপন

তাহলে কি চন্ডিকা হাথুরুসিংহেই ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন? সুজন সেটা হাফভলির মতোই উড়িয়ে দিলেন। সরাসরিই বললেন, হাথুরুর চিন্তাটাই সর্বনাশ করেছে দলের, ‘হাথুরুকে নিয়ে মনে হয় বড় চিন্তা আমাদের মাথায় ছিল। এটা নেগেটিভ ভাবে গেছে। পুরো জাতি হাথুরুর সঙ্গে ফাইট করেছে…হাথুরুর সঙ্গে তো ফাইট ছিল না। ফাইট ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে… ১১টা ছেলে খেলবে ১১টা ছেলের বিপক্ষে। হাথুরু মনে হয় বেশি ছিল মাথায়। ওর আমলে কী করেছে না করেছে এগুলো নিয়েই বেশি মাতামাতি ছিল। এটা নেগেটিভ মাইন্ডসেট ছিল। আমরা অনেকভাবে ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। আসলে ম্যানেজমেন্ট তো ক্রিকেট খেলে না, খেলবে খেলোয়াড়েরা। তারা যদি পারফর্ম না করতে পারে তবে কঠিন। বুঝতাম এদের সামর্থ্য নেই, তাহলে মন খারাপের কিছু থাকতো না।’

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন