বিজ্ঞাপন

নিষিদ্ধ হলেন কামাল বাবু

February 12, 2018 | 9:52 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: ম্যাচ চলাকালীন মাঠের মধ্যে ঢুকে রেফারির সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে রহমতগঞ্জের কোচ কামাল বাবুকে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এতে করে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত ফুটবল সংশ্লিষ্ট সবকিছু থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে তাকে।

বিজ্ঞাপন

রবিবার তাকে কারণ দর্শাতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় বাফুফে। কামাল বাবুকে ডেকে পাঠিয়েছিল দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। অবশেষে শাস্তি পেতে হচ্ছে পুরান ঢাকার ক্লাবের এই কোচকে।

দুই দফায় শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকের পর তাকে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে রেফারি-ম্যাচ কমিশনারের অভিযোগ, প্রতিবেদন ও গণমাধ্যমের রিপোর্ট আমলে নিয়ে শাস্তি দেওয়া হয়। বাফুফের একটি সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

এই ঘটনার সূত্রপাত গত সপ্তাহের মঙ্গলবার। চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে স্বাধীনতা কাপের সেমি ফাইনালে খেলতে নেমেছিল রহমতগঞ্জ। ম্যাচের তখন ৪০ মিনিট। গোলশূন্য দুই দলই। এমন সময় রেফারি চট্টগ্রাম আবাহনীর পক্ষে এ পেনাল্টির বাঁশি দেন। সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি কামাল বাবু। নিয়মবহির্ভূতভাবে মাঠে ভেতরে ঢুকে রেফারির দিকে তেড়ে গেলেন। রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়লেন। বাক-বিতণ্ডা চলল ৭-৮ মিনিট। বুঝিয়ে-শুনিয়ে ডাগ আউটে ফিরছেন অমনি আবাহনীর খেলোয়াড় মামুনুল ইসলাম মামুনের সঙ্গেও আরেক দফা তর্কে জড়ালেন। মামুনকে অবশ্য হলুদ কার্ড দিয়ে সতর্ক করেছে রেফারি। তবে, এমন আচরণের পরেও কোচ ডাগ আউটে দাঁড়িয়েছিলেন!

বিজ্ঞাপন

কোচের ফুটবল অশৃঙ্খলাজনিত কাণ্ডের পরেও লালকার্ডহীন থাকাটাকে বিষ্ময় সৃষ্টি করেছে ম্যাচ দেখতে আসা জাতীয় দলের কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ড। ভিআইপি বক্স থেকে নেমে প্রেস বক্সে এসে বিষ্ময়ের কথা জানালেন, ‘ফুটবলে নিয়ম অনুযায়ী কোচ ডাগআউট থেকে মাঠে গেলে তাকে লাল কার্ড দেখিয়ে বের করে দিতে হবে; কিন্তু রহমতগঞ্জ কোচ কেন ডাগআউটে? এমনটা তো আমি আগে কখনও দেখিনি।’

তবে, কোচ কামাল বাবু অবশ্য ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, ‘আমি ছেলেদের ঠাণ্ডা করবার জন্য গিয়েছিলাম।’ পরেরদিন অবশ্য ক্ষমা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্টাটাস দিয়েছেন।

কামাল বাবুর এমন অসৌজন্যমূলক আচরণে বিষ্মিত বাফুফেও। তাই কোনো ছাড় দিতে নারাজ দেশের ফুটবল এই সংস্থা। পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী জানান, ‘সত্যিই বিষ্ময়কর। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। ম্যাচ রেফারি, ম্যাচ কমিশনার রিপোর্ট দেখব। পত্রিকা-টেলিভিশনের ভিডিও দেখব। এ বিষয়ে কাজ করবে শৃঙ্খলা কমিটি।’

বিজ্ঞাপন

রেফারির সঙ্গে অফুটবলীয় আচরণ ছাড়াও এর আগে বিপিএলেও ম্যাচ পাতানো নিয়ে আলোচিত ছিলেন কামাল বাবু। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে পাতানো খেলার প্রস্তাব দেওয়ার কথাটি একবার মুখ ফসকে বলে ফেলেছিলেন তিনি। তার অধীনে স্বাধীনতা কাপে শেখ জামালের বিপক্ষে রহমতগঞ্জের ম্যাচটিও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন