বিজ্ঞাপন

প্রায় জাতীয় দল নিয়ে খেলেই শীর্ষে মাশরাফিরা

February 13, 2018 | 5:51 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজা-নাসির হোসেনদের আবাহনী লিমিটেড। ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ১৩৬ রানে উড়িয়ে দিয়েছে আবাহনী। টানা তিন জয়ে শীর্ষে থাকা মাশরাফিদের সংগ্রহ সর্বোচ্চ ৬ পয়েন্ট। টানা দুই ম্যাচ জিতলেও তৃতীয় ম্যাচে নেমে হারতে হলো ব্রাদার্সকে।

আবাহনীর একাদশের দিকে তাকালে দেখা যাবে একজন বাদে সবারই বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সিতে খেলা হয়ে গেছে। একমাত্র আবাহনীর সাইফ হাসান ছাড়া বাকিরা সবাই জাতীয় দলে খেলেছেন। সেই সাইফই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। সাইফ ছাড়া আবাহনীর জার্সিতে এই ম্যাচে নেমেছিলেন এনামুল হক বিজয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, নাসির হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাশরাফি, মেহেদি হাসান মিরাজ, সানজামুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ এবং সাকলাইন সজীব।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৫০ ওভারে আবাহনী সবকটি উইকেট হারিয়ে তোলে ২৬৬ রান। ব্যাটিংয়ে নেমে ব্রাদার্স ৩৫.৪ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে তোল ১৩০ রান। আবাহনীর ওপেনার সাইফ হাসান সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। মাশরাফি কোনো উইকেট না পেলেও মিরাজ-সানজামুল বাদার্সকে গুটিয়ে দিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন।

বিজ্ঞাপন

আবাহনীর ওপেনার সাইফ হাসান ১৩২ বলে করেন ১০৮ রান। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার আর ৫টি ছক্কার মার। আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত খেলেন ৩৮ রানের ইনিংস। অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা নাসির হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। এছাড়া, মোহাম্মদ মিঠুন ১, মোসাদ্দেক সৈকত ৪, মাশরাফি ১৬, মিরাজ ৭, সানজামুল ১২, তাসকিন ৫, সাকলাইন সজীব ০ রান করেন।

ব্রাদার্সের খালেদ আহমেদ এবং রনি হোসেন দুটি করে উইকেট পান। একটি করে উইকেট নেন সোহরাওয়ার্দি শুভ এবং অলোক কাপালি।

২৬৭ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্রাদার্সের চার ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের দেখা পেয়েছেন। ওপেনার মিজানুর রহমান ২৪, জুনায়েদ সিদ্দিকী ২৪, ওয়াহিদুল আলম ১৫ আর ইয়াসির আলি অপরাজিত ৩৫ রান করেন।

বিজ্ঞাপন

মাশরাফি ৫ ওভারে একটি মেডেন নিয়ে মাত্র ১২ রান খরচ করেন। তাসকিন ৩ ওভারে ২৮ রান দিয়ে উইকেট পাননি। মিরাজ ৬ ওভারে ২৪ রানের বিনিময়ে নেন তিনটি উইকেট। নাসির ৭ ওভারে ২১ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। ১০ ওভারের কোটা পূরণ করে সানজামুল ২৮ রানের বিনিময়ে নেন আরও তিনটি উইকেট। সাকলাইন সজীব ৪.৪ ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে তুলে নেন দুটি উইকেট। তবে, ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে সাইফ হাসানের হাতে।

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন