বিজ্ঞাপন

ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে ধর্মঘট

October 29, 2019 | 2:21 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: উপাচার্যের (ভারপ্রাপ্ত) পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার ধর্মঘট শুরু করেছে আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিজের খেয়াল খুশি মতো পরিচালনার অভিযোগে উপাচার্যের পদত্যাগ চাইছেন আন্দোলনকারীরা।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ধর্মঘট ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। ধর্মঘটের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের রিডিং রুম, ক্যান্টিন, লাইব্রেরিসহ সব প্রশাসনিক দফতর বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্যাম্পাসের মূল চত্বরে বসে ভিসিবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা জানান, বিভিন্ন সময় নামকরা ও চৌকষ শিক্ষকদের কোনো কারণ ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়েছেন উপাচার্য। এছাড়া সেমিস্টার ফি বাড়ানো হলেও প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, চ্যান্সেলর কর্তৃক নিযুক্ত ভিসি-প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষ নেই বেসরকারি আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর ভারপ্রাপ্ত বা অনিয়মিত ভিসি কর্তৃক স্বাক্ষরিত অকার্যকর মূল সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য প্রায় আড়াই হাজার গ্র্যাজুয়েটকে ডাকা হয়েছিল সমাবর্তনে। যেটি পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে স্থগিত করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্য শরিফুল আলম ও তার চাটুকারদের জন্য আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ভিসি আপসরণসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, অবৈধ ভিসি যা যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বাতিল করতে হবে; এই কর্তৃপক্ষের অধীনে কোনো ধরনের কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন না; সেমিস্টার ফি’র টাকার কি খাতে ব্যয় হচ্ছে তা জানাতে হবে; ল্যাব, ক্লাসরুমের পারিপার্শ্বিক অবস্থা, ওয়াশরুমের হাল, নিরাপত্তার বেহাল দশা, ক্যান্টিনের খাবার ও পরিচ্ছন্নতার মানসহ যেসব ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জবাবদিহি করতে হবে; শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে; ক্লিয়ারেন্সের নামে টাকা নেওয়া বাতিল করতে হবে; তাছাড়া ক্যারি ক্লিয়ারেন্সে সর্বোচ্চ সিজিপিএ ৩ করতে হবে এবং এতদিন ধরে করে আসা সব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জবাব দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর আহছানউল্লাহর উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) স্বাক্ষরিত সনদের সমাবর্তনের খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্র্যাজুয়েটরা। এরপর সমাবর্তন বাতিল হলে শুরু হয় এই আন্দোলন।

সারাবাংলা/টিএস/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন