বিজ্ঞাপন

রাজশাহীর সেই আমবাগানের পাখির বাসা ভাঙা যাবে না: হাইকোর্ট

October 30, 2019 | 9:23 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের আমবাগানে পাখির বাসা কোনো অবস্থাতেই ভাঙা যাবে না বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই আমবাগানকে কেন পাখিদের অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হবে জানতে চেয়ে আদালত রুল জারি করেছেন।

বিজ্ঞাপন

পাশাপাশি পাখির বাসা থাকায় ওই বাগান মালিকের কী পরিমাণ ক্ষতি হয় তা নিরূপণ করে রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ৪০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন আদালত।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

‘পাখির বাসা ছাড়ার সময় দেওয়া হয়েছে ১৫ দিন’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন হাইকোর্টের আইনজীবী প্রজ্ঞা পারুমিতা রায়। পরে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজশাহীর একজন আম ব্যবসায়ী আতাউর রহমান। বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামে তার ইজারা নেওয়া আম বাগানের গাছে গাছে শামুকখোল পাখিরা বাসা বেঁধে বাচ্চা ফুটিয়েছে। বাচ্চারা এখনও উড়তে শেখেনি। কিন্তু বাগানমালিক এখন বাগানের পরিচর্যা করতে চান। পাখিপ্রেমীদের প্রতিরোধের মুখে তিনি মঙ্গলবার থেকে পাখিদের জন্য ১৫ দিন সময় বাড়িয়েছেন।

গত চার বছর ধরে শামুকখোল পাখিরা এ বাগানে বাসা বাঁধে আবার চলে যায়। গত বছর পাখি থাকার কারণে তার আম নষ্ট হয়েছে। এবার আর তিনি তা হতে দেবেন না। এখনই তিনি আমগাছ পরিচর্যা করতে চান। এ জন্য পাখির বাসা ভেঙে গাছে ওষুধ ছিটাতে চান।

স্থানীয় পাখিপ্রেমী রফিকুল ইসলাম বলেন, বাগানে কয়েক হাজার পাখির বাসা রয়েছে। সব বাসাতেই বাচ্চা রয়েছে। বাচ্চাগুলো উড়তে শিখতে অন্তত আরও এক মাস সময় লাগবে। এর আগে বন অধিদফতর থেকে এই আমগাছের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য একটি প্রকল্প করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে বন অধিদফতরের আর কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এখন পাখিগুলোর বাসা ভেঙে দিলে হাজার হাজার পাখির বাচ্চা মারা পড়বে। এরই মধ্যে বাসা ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় স্থানীয় লোকজন ১০০ পাখির বাচ্চা ধরে নিয়ে গেছে। আজ তিনিসহ কয়েকজন গিয়ে আতাউর রহমানের কাছে আপত্তি জানান। পরে তিনি ১৫ দিন সময় দেন।

বিজ্ঞাপন

বর্ষার শেষে এসে বাচ্চা ফুটিয়ে শীতের শুরুতে শামুকখোল পাখিরা আবার চলে যায়।

সারাবাংলা/এজেডকে/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন