বিজ্ঞাপন

৭ মার্চ ভাষণের মূল চেতনা রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মুক্তি

November 25, 2017 | 10:42 am

সারাবাংলা প্রতিবেদক

বিজ্ঞাপন

অর্থনৈতিক মুক্তি আর রাজনৈতিক স্বাধীনতা ছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের মূল চেতনা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার মন্ত্রে বাঙালি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেন। বাংলার মানুষের সঙ্গে জাতির পিতার আত্মিক সম্পর্ক এ ভাষণে ফুটে ওঠে। তিনি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। তিনি গেরিলা যুদ্ধের নির্দেশনা দিয়েছিলেন।  এত দূরদর্শিতা, এত দিক-নির্দেশনা পৃথিবীর কোনো ভাষণে পাওয়া যায় না।

তিনি বলেন, সে দিনের জনসমুদ্রে আমার আসার সৌভাগ্য হয়েছিল। আমরা এসেছি, ভাষণ শুনেছি। দেখেছি সেদিন বাংলার মানুষের উত্তাল তরঙ্গ।

বিজ্ঞাপন

‘আমাদের প্রতিটি অর্জন জাতির পিতার নেতৃত্বে। শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের পাশাপাশি দেশকে একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা আন্দোলন গড়ে তোলেন-’ বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আজকে আমরা আনন্দিত। এ ভাষণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। ৪৬ বছর আগের এ ভাষণকে স্বীকৃতি দেয়ায় ইউনেস্কো, তার সাবেক পরিচালক, যারা ভোট দিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

একাত্তরের ৭ মার্চ যে উদ্যানে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেই ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ায় সেই জায়গাতেই শনিবার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

এর আগে দুপুর ১২টায় ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পুস্পস্তবক অর্পণ করার মধ্য দিয়ে সরকারি উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির এই উদযাপন শুরু হয়।

৩২ নম্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ পর্ব শেষ হওয়ার পর সেখান থেকে আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দীতে যান রাজনৈতিক নেতানেত্রী ও সরকারি কর্মকর্তারা।

একে

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন