বিজ্ঞাপন

দ্বিতীয় দিন শেষ ষষ্ঠ উইকেটের পতনে

November 23, 2019 | 6:50 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

ইডেনের ঐতিহাসিক গোলাপি বলের টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংস ব্যাট করতে নেমেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে এই রিপোর্ট লেখা অবধি ৩২.৩ ওভারে ৬ উইকেটে টাইগারদের সংগ্রহ ১৫২ রান।  আর ষষ্ঠ উইকেটের পতনের পরই দ্বিতীয় দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। উইকেটে অপরাজিত আছেন, মুশফিকুর রহিম (৫৯)। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ৮৯ রানে।

বিজ্ঞাপন

দ্বিতীয় ইনিংস ২৪১ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। মাঠে নেমে প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই ইশান্ত শর্মার বলে এলবি’র ফাঁদে পড়ে আউট হন সাদমান ইসলাম। এরপর উইকেটে আসেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তবে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ অধিনায়ক। প্রথম ইনিংসে ফিরেছিলেন শূন্য রানে। আর দ্বিতীয় ইনিংসেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ফিরেছেন শূন্য হাতেই। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে ইশান্ত শর্মার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরে যেতে হয় মুমিনুলকে।

দুই উইকেট হারিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। আর বিরতি থেকে ফিরেই উমেষ যাদবের বলে আউট হয়ে ফিরে যান মোহাম্মদ মিঠুন। এর আগে নামের পাশে যোগ করেন মাত্র ৬ রান। আর দলীয় ৯ হতেই প্যাভিলিয়েন ফিরেছেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। এরপর ফেরার মিছিলে নাম তোলেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। দলীয় স্কোরবোর্ডে ৪ রান যোগ হতেই ফিরে যান তিনিও। আউট হওয়ার আগে করেন ৫ রান।

ইনিংসের ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে রান নিতে গিয়ে পায়ে ব্যথা পান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ব্যক্তিগত ৩৯ রানে রিটার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ত্যাগ করতে বাধ্য হন রিয়াদ। এই সময় বাংলাদেশ দলের দলীয় সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেট হারিয়ে ৮২ রান। ইনজুরিতে পড়ে রিয়াদ মাঠের বাইরে চলে গেলে মাঠে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটি গড়েন ৩৯ রানের। এরপর ইশান্ত শর্মার চতুর্থ শিকার হয়ে মাত্র ১১ রানেই ফিরে যেতে হয় মিরাজকে। ইনিংসের ২৬তম ওভারের শেষ বলে স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিরাজ। এর আগে অবশ্য ব্যক্তিগত ৪ রানে আজিঙ্কা রাহানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন মিরাজ। মিরাজ যখন ফেরেন তখন বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ ছিল ১৩৩ রান।

বিজ্ঞাপন

মিরাজের আউটের পর উইকেটে আসেন লিটন দাসের বদলি হিসেবে দলে সুযোগ পাওয়া তাইজুল ইসলাম। টাইগারদের দ্বিতীয় ইনিংসের ৩২তম ওভারের তৃতীয় বলে ব্যক্তিগত ১১ এবং দলীয় ১৫২ রানে উমেষ যাদবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তাইজুল। তখনও টাইগাররা পিছিয়ে ৮৯ রানে।

এর আগে ১ম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ১০৬ রানের জবাবে ভারত ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৪৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির ২৭তম টেস্ট শতকে ২৪১ রানের লিড পায় স্বাগতিক ভারত।

এর আগে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই প্রথম দিনে অপরাজিত থাকা ব্যাটসম্যান আজিঙ্কা রাহানে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২২তম অর্ধশতক। অপরদিকে ভারতীয় অধিনায়ক সাবলীল ভঙ্গিতেই ঘোরাচ্ছিলেন নিজের ব্যাট। আর সেই সঙ্গে ছোটাচ্ছিলেন ভারতের রানের চাকাও। ভারতের দলীয় ২৩৬ রানে আর ব্যক্তিগত ৫১ রানে তাইজুল ইসলামের শিকার হয়ে ফেরেন রাহানে। ব্যাট করার সময় মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন নাইম হাসান। আর তার পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পান তাইজুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

রাহানে আউট হয়ে গেলে কোহলির সঙ্গে ৯৯ রানের জুটি ভাঙে। তবে এক প্রান্তে নিজের দৃঢ় হাতে আগলে রাখেন কোহলি। আর গোলাপি বলে ভারতের হয়ে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে তুলে নেন প্রথম শতক। এই শতকই কোহলির টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৭তম এবং অধিনায়ক হিসেবে ২০তম শতক। অধিনায়ক হিসেবে ক্রিকেট ইতিহাসে টেস্টে শতকের দিক দিয়ে কেবল এগিয়ে আছেন প্রোটিয়া কিংবদন্তি ক্রিকেটার গ্রায়েম স্মিথ।

টাইগারদের হয়ে প্রথম দিনে এবাদত হোসেন তুলে নেন দুই উইকেট আর আল আমি নেন একটি উইকেট। দ্বিতীয় দিনে তাইজুল ইসলাম আজিঙ্কা রাহানের উইকেট তুলে নিয়ে কোহলির সঙ্গে ৯৯ রানের জুটি ভাঙেন।

লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরেই ভারত শিবিরে আঘাত হানেন আবু জায়েদ রাহী। যাদেজাকে ১২ রানে বোল্ড করে সাজঘরে ফিরিয়ে ভারতের পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটান এই পেসার।

রানের তুবড়ি ছুটাচ্ছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু সেই চাকা থামিয়ে ১৩৬ রানে এই অধিনায়ককে সাজঘরে পাঠান এবাদত হোসেন। সেই সঙ্গে নিজের নামের পাশে যোগ করেন ৩ উইকেট।

বিজ্ঞাপন

ঋদ্ধিমান সাহাকে নিয়ে উইকেটে থিতু হতে চেয়েছিলেন আশ্বিন। কিন্তু সেই আশায় বাধ সাধেন আল আমিন। ব্যক্তিগত ৯ রানে আল আমিনের এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় আশ্বিনকে।

আশ্বিন ফেরাতে উইকেটে আসেন উমেষ যাদব। কিন্তু ৩ বল খেলে রাহীর বলে বড় শট খেলতে গিয়ে স্লিপে তালুবন্দি হয়ে রানের খাতা খালি রেখেই ফিরে যান তিনি। ব্যর্থ হয়ে শূন্য হাতে বিদায় নেন ইশান্ত শর্মাও। আল আমিনের তৃতীয় শিকার হয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

টেস্টের প্রথম দিনে মাত্র ১০৬ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে দলীয় সর্বোচ্চ রান আসে ওপেনার সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে। তিনি করেন মাত্র ২৯ রান। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন লিটন দাস। তবে ২৪ রান করা লিটন মোহাম্মদ সামির বলে মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন। আর তার বদলে দলে সুযোগ পান মেহেদী হাসান মিরাজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১ম দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান তুলেছিল ভারত।

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন