বিজ্ঞাপন

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সব ক্ষেত্রে নারী জাগরণ ঘটেছে’

November 27, 2019 | 7:46 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশের চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে নারীর ক্ষমতায়নসহ সব ক্ষেত্রে নারীর জাগরণ ঘটেছে। যার উদাহরণ- এ বছর এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনের জন্য ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭০ শতাংশই ছাত্রী।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিলন হলে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। উপমহাদেশের প্রথম বাঙালি মুসলিম নারী চিকিৎসাবিদ অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজীর ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজী ছিলেন চিকিৎসকদের জন্য আদর্শ ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব এবং রোল মডেল। তিনি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধীর আশ্রমেও তিনি রোগীদের সেবা দিয়েছেন। শিক্ষক হিসেবেও তিনি ছিলেন আদর্শ ও মহান।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘প্রতিকূল পরিবেশেও পড়াশোনা করে অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজী দেশের মানুষের সেবা করেছেন। উনার অবদান আমরা আজীবন স্মরণ করব। একইভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দেশের জন্য যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাতে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। উনার উদ্যোগে করা বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক সেবা এখন বাংলাদেশের রোল মডেল।

অনু্ষ্ঠানে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘সেবাই পরম ধর্ম। গুণি শিক্ষক, মহান চিকিৎসক, বহুমুখী গুণের অধিকারী, মহিয়সী নারী অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজীর জীবানাদর্শকে অনুসরণ করে দরদী মন নিয়ে রোগীদের সেবা দিতে হবে। নিজেকে ভালো চিকিৎসক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

এ সময় তিনি অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজী স্মরণে একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবিও জানান।

বিজ্ঞাপন

আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজী পরিষদের সভাপতি ও দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. নাজমুল করিম মানিক। আলোচনা সভার প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন আবুল কালাম আজাদ ও মুখ্য আলোচক ছিলেন বিএমএ-এর সাবেক মহাসচিব ডা. সারোয়ার আলী।

আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় সংস্কার) শেখ মজিবুর রহমান, বিএসএমএমইউ’র প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. লতিফা সামসুদ্দিন।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজী ১৯১২ সালের ১৫ অক্টোবর অবিভক্ত ভারতের মধ্য প্রদেশের রাজনান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৫ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সেই তিনি দিল্লির লেডি হাডিং মেডিক্যাল কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমবিবিএস পাস করেন। এজন্য পুরস্কার হিসেবে পান ভাইসরয় পদক। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৪৮ সালে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যোগ দেন। ১৯৭৩ সালে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর বেশকিছু বছর হলি ফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট হাসপাতালে কনসালটেন্ট হিসেবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন