বিজ্ঞাপন

ডিএপি সারের দাম এখন কেজিতে ১৬ টাকা

December 4, 2019 | 2:22 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ডাই এ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের দাম কমিয়েছে সরকার। দেশের প্রান্তিক কৃষককে প্রণোদনা দিতে এ সিদ্ধান্ত। এতে সারের খুচরা বাজার মূল্য ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করা হয়েছে। আমদানি খরচ মিলিয়ে ৯ টাকাসহ মোট ২৪ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে সরকারকে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এসব তথ্য জানান।

ডিএপি সারের মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকরের কথা জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমানো ও ডিএপি সারের ব্যবহার বৃদ্ধিসহ প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমানোর প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করা হলে তিনি এ অনুমোদন দেন। কৃষককে প্রণোদনা দিতে সারে সরকারকে ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কিভাবে কৃষিতে উৎপাদন বেশি করা যায়, সে জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। চালের বাম্পার ফলনের পর গত বছর কৃষকদের কাছ থেকে ৪ লাখ টন চাল কেনা হয়েছে। এ বছর ৬ লাখ টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাও প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষিদের কাছ থেকে।

বিজ্ঞাপন

ড. রাজ্জাক বলেন, কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমাতে এবং তাদের উৎসাহ দিতে সাবসিডি নয় বরং আরো প্রণোদনা দেওয়া হবে। কৃষিকাজে এখন শ্রমিক বা দিনমজুর পাওয়া যায় না। সে কারণেই সরকার উচ্চ মূল্যে উন্নত মানের মেশিন আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য ৪ হাজার কোটি টাকার একটি বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে এটা প্ল্যানিং কমিশনে জমা দেওয়া আছে। এটা কিনতেও কৃষকদের লাখ লাখ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।

‘বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোগ অপ্রতুল, কেন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাজার মানে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে এটা সত্য। তবে আমি মনে করি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এজন্য চাই যথাযথ বাজার মনিটরিং। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা হলেই বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আমি মনে করি।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, গত দশ বছরে সারের দাম এক টাকাও বাড়েনি। বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতা নেওয়ার সময় নন-ইউরিয়া সারের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেশি থাকায় কৃষকের পক্ষে সার ব্যবহার করে ফসল ফলানো কষ্টসাধ্য ছিলো। কিন্তু বর্তমান সরকার দফায় দফায় কমিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

২০০৯ সালে টিএসপি সারের দাম ছিলো প্রতিকেজি ৮০ টাকা ২০১৪ সালে এটি কমিয়ে করা হয় ২২ টাকা। ২০০৯ সালে এমওপি সারের দাম ছিলো ৭০ টাকা, ২০১৪ সালে এটি কমিয়ে করা হয় ১৫ টাকা। এছাড়া ২০০৯ সালে ডিএপির দাম ছলো ৯০ টাকা ২০১৪ সালে এটি কামিয়ে করা হয় ২৫ টাকা। চলতি মৌসুমের এই ডিসেম্বরে খুব শিগগির ডিএপি সারের দাম ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে। এটির সব ধরনের অনুমোদন হয়ে গেছে। এখন শুধু সার্কুলার জারি করা বাকি। যোগ করেন কৃষিমন্ত্রী।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/জেএএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন