বিজ্ঞাপন

‘সবচেয়ে বেশি যৌন হয়রানি বগুড়ায়’

December 7, 2017 | 6:49 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

দেশে ১২ ধরনের সহিংস ঘটনার মধ্যে মেয়েরা সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছে ইভটিজিং-এর। সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটছে কুমিল্লায়। আর যৌন হয়রানির মতো ঘটনা সবচেয়ে বেশি হচ্ছে বগুড়ায়। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) দুদিনের বার্ষিক গবেষণা সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আয়োজিত সম্মেলনে ‘অ্যাডোলেসেন্টস এক্সপোজার টু ভায়োলেন্স অ্যান এক্সপ্লোরেটেরি স্টাডি’ শীর্ষক এ গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন বিআইডিএস এর মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদ।

তিনি সারাবাংলাকে বলেন, এ গবেষণাটি প্রাথমিক গবেষণা বলা চলে। আগামীতে বিস্তারিত গবেষণা করতে হবে। তবে আগে ধারণা ছিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বেশি সহিংসতার শিকার হয়। এ ধারনা ভুল। তারা যে কম সহিংস ঘটনার শিকার হচ্ছে তা গবেষণায় উঠে এসেছে। কেন  সহিংস ঘটনার শিকার কম হয়ে থাকে এ বিষয়ে এখনই  বিস্তারিত বলা যাচ্ছনা।

এ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির  প্রফেসর ড. এ কে এনামুল হক। আলোচক ছিলেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ড. সৈয়দ নাইমুল ওয়াদুদ এবং নর্থ সাউথ বিশ^বিদ্যালয়ের ড. সাকিব বিন আমিন। এছাড়ার আরও দুটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এগুলোতে সভাপতিত্ব করেন, আইসিডিডিআরবির সাবেক ডেপুটি একক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডা.আব্বাস ভূঁইয়া এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

জলবায়ু আক্রান্ত অভিবাসী ও স্বাভাবিক অভিবাসী সংক্রান্ত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যারা  বাধ্য হয়েই শহরমুখী হচ্ছেন তারা স্বাভাবিক কারণে যারা শহরমুখী হচ্ছেন তাদের তুলনায় সব দিক থেকে সুবিধা বঞ্চিত। এক্ষেত্রে যারা স্বাভাবিক কারণে শহরে আসে  সেরকম পরিবারের মাসিক  আয় ১৩ হাজার ৩২৫ টাকা। অন্যদিকে যারা জলবায়ুর অভিঘাতের কারণে শহরে আসে  সেরকম পরিবারের মাসিক  ৫ হাজার ৭১১ টাকা ২৫ পয়সা। এক্ষেত্রে তারা আয় বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এছাড়া ঢাকা শহরে যত অভিবাসী রয়েছে তাদের ২০ শতাংশই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবাসস্থল ছেড়েছেন।

সম্মেলনে  উপস্থাপিত  ক্লাইমেট  ইনফ্লুয়েন্স অন রাইস প্রডাকশন : এ প্যানেল ডাটা অ্যানালাইসিস নামের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, জলবায়ু কারণে ফসলের উপর ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যদি তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি বৃদ্ধি পায় তাহলে ২১০০ সালে বাংলাদেশে গমের উৎপাদন কমবে ২৬ শতাংশ। ২০৫০ সালের দিকে বোরো ধানের উৎপাদন কমবে ১২ শতাংশ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে ১৯৭৩ সালের তুলনায় বিভিন্ন মাত্রার লবনাক্ততা সব সূচকই বেড়েছে। দেশে প্রতিবছর বন্যায় ২০-২৫ শতাংশ ধানের আবাদ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। গত ১০০ বছরে ৮০টি বন্যা এবং ৮৫টি সাইক্লোন হয়েছে। যেগুলো শস্য উৎপাদন মারাত্ব ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যদি এক ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ে তাহলে প্রায় হেক্টর প্রতি ২ টন শস্য উৎপাদন কমবে।

ঢাকা শহরের শিল্পাঞ্চল ও অন্য অঞ্চলের মধ্যে বায়ুতে জৈব উপাদানের উপস্থিত সংক্রান্ত অপর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ঢাকা শহরের আবহাওয়া দূষণের মূল কারণ হচ্ছে শিল্প ও যানবাহনের ধোঁয়া। বায়ু দুষণে ঢাকার অবস্থা খুবই খরাপ অবস্থায় রয়েছে। বিশে^র অনেক দেশের তুলনায় ঢাকা আবহাওয়া দুষণের মাত্রা বেশি। এক্ষেত্রে ঢাকার পার্ক, রাস্তা,আবাসিক এলাকা ও  শিল্পাঞ্চলের মধ্যে গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে/এসআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন