বিজ্ঞাপন

পাকিস্তানের হোম ভেন্যু এবার মালয়েশিয়ায়!

February 18, 2018 | 4:20 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কান টিম বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে পাকিস্তান নিজেদের মাটিতে ম্যাচ আয়োজনে পিছিয়ে ছিল। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড শত চেষ্টা করেও তাদের দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে পারছে না। দ্বিতীয় হোম ভেন্যু হিসেবে তারা বেছে নিয়েছিল আরব আমিরাতকে। এবার নিজেদের আয়োজনকে আমিরাত থেকে সরিয়ে মালয়েশিয়ায় নিতে চায় পাকিস্তান।

গুঞ্জন উঠেছে আরব আমিরাত পাকিস্তানের হোম ভেন্যুর মর্যাদা হারাতে বসেছে। একাধিক টি-টোয়েন্টি লিগ আর পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সূচি একই সময়ে হওয়ায় আরব আমিরাত পাকিস্তানকে ভেন্যু ব্যবহার করা থেকে দূরে রাখতে চাইছে। মূলত শারজাহকে ব্যবহার করতে পারবে না পাকিস্তান। আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) নিউ অ্যারাবিয়ান ক্রিকেট লিগ আয়োজন করবে শারজাহতে। এ কারণে পাকিস্তানকে বেছে নিতে হচ্ছে বিকল্প কোনো পথ। এছাড়া, আফগান সুপার লিগের আয়োজনও হবে শারজাহতে।

চলতি বছরই শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে সিরিজ আয়োজন করার কথা রয়েছে পাকিস্তানের। ওই সিরিজের জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এখন নজর দিয়েছে মালয়েশিয়ার দিকে।

বিজ্ঞাপন

পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি জানিয়েছেন, ‘আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড আমাদেরকে জানিয়েছে যে, তারা আফগান সুপার লিগ আয়োজন করতে চায়। একই সঙ্গে নিউ অ্যারাবিয়ান ক্রিকেট লিগের আয়োজনও করতে চায় তারা। ঠিক সে সময়ই নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমাদের সিরিজ আয়োজন করা কথা। আরব আমিরাত আমাদেরকে শারজাহ দিতে রাজি নয়। এটাই এখন আমাদের জন্য বড় সমস্যা।’

নাজাম শেঠি আরও যোগ করেন, ‘প্রতি বছর জানুয়ারিতে তারা অ্যারাবিয়ান লিগ আয়োজন করতে চায়। অথচ, ফেব্রুয়ারিতেই আমাদের পিএসএল রয়েছে। এসব কারণেই আমি চিন্তা করছি, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড সিরিজকে মালয়েশিয়ায় আয়োজন করতে। সব সূচির স্বমন্বয় করেই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবো।’

শুধু বিকল্প ভেন্যুই নয়, নিজেদের আর্থিক বিষয়টিও ভেবে দেখছে পিসিবি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে হোম সিরিজ আয়োজন করলেও সেখানে দর্শকদের কাছ থেকে সেভাবে সাড়া পাচ্ছে না পাকিস্তান। তাই আর্থিক দিক ভেবে লাভজনক ভেন্যু খোঁজারও পরিকল্পনা আছে পিসিবির। বোর্ড প্রধান জানান, ‘আমাদের প্রথম পছন্দ অবশ্যই সংযুক্ত আরব আমিরাত। কিন্তু তারা যদি আমাদের স্বার্থের বিষয়টি পূরণ করতে না পারে তাহলে বিকল্প আমাদের ভাবতেই হবে। সেই ভাবনা থেকেই মালয়েশিয়াকে এগিয়ে রাখছি।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন