বিজ্ঞাপন

‘আ.লীগের কাউন্সিলে জাতির জন্য দিকনির্দেশনা ছিল না, জাতি হতাশ’

December 21, 2019 | 12:12 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আওয়ামী লীগের ২১তম কাউন্সিলে জাতির জন্য কোনো দিকনির্দেশনা ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে জাতি হতাশ হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়া পরিষদের সভাপতি সদ্যপ্রয়াত মুরাদ কবিরের রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন তাকে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্রহীন একটা অবস্থা বিরাজ করছে। সংবিধানকে পুরোপুরি নসাৎ করে একদলীয় একটা শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ কাজ করছে প্রায় এক দশক ধরে। আমরা তাদের সম্মেলনে দেখতে পেলাম সেই কথাগুলোই আবার সামনে এসেছে। ফলে জাতি সম্পূর্ণভাবে হতাশ হয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জাতির একটা প্রত্যাশা ছিলো যে, হয়তো বা গণতন্ত্র উত্তরণের একটা পথ দেখা যাবে। কিন্তু তাদের (আওয়ামী লীগ) সম্মেলনে সেই পথ তারা দেখাতে পারেনি। সেই সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন, রাজনৈতিক যে উন্নয়ন তার জন্য এবং সংকট উত্তরণের জন্য দিকনির্দেশনা দিতে তারা এই সম্মেলনে ব্যর্থ হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে ব্যক্তি ও দলের প্রশংসা যেটাকে আমরা বলি বন্ধনা করা হয়েছে। কিন্তু জাতির যে সংকট সেই সংকট উত্তরণের জন্য বেশি কিছু এই সম্মেলনে আসেনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের যে অবস্থান অর্থাৎ একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবার লক্ষ্যে তারা এগিয়ে যাচ্ছে এবং জনগণের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা, যেটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সেটা উপেক্ষা করা হচ্ছে।’

দলের কাউন্সিল কবে হবে প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, আমরা একটা প্রচণ্ড বৈরী ও প্রতিকুল অবস্থার মধ্যে দিয়ে রাজনীতি করছি। আমাদের রাজনীতির যে স্পেস আমরা এখানে পাচ্ছি না। যার ফলে আমাদের যে স্বাভাবিক কার্য্ক্রম সেই স্বাভাবিক কার্য্ক্রম আমরা পরিচালনা করতে পারি না। বেশির ভাগ জায়গায় আমাদের কাউন্সিল করতে দেয়া হয় না। বিশেষ করে জেলা ও উপজেলাগুলোতে আমাদের যে কাউন্সিল সেগুলো করতে দেয়া হয় না।এর মধ্যেও আমরা কাজ করছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমাদের সংগঠনকে গুছিয়ে আনা হচ্ছে। আমরা যত দ্রুততর সময়ে এটা শেষ করবো এবং এরমধ্যেই হয়তবা আমরা কাউন্সিল করতে চেষ্টা করব।’

রাজাকারের তালিকায় ভুল-ভ্রান্তির পেছনে বিএনপি ও জামায়াত জড়িত রয়েছে সরকারের মন্ত্রীর এরকম বক্তব্যে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এসব হচ্ছে নিজের ব্যর্থতার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয়। এটা নতুন না। এটা আওয়ামী লীগের চরিত্র। সেইভাবে সব সময় তাদের ব্যর্থতা, তাদের অপরাধ অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করে।’

বিজ্ঞাপন

‘আমি তো যেটা মনে করি, আসলে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় অপরাধ যেটা করছে, সেটা হচ্ছে যে, বাংলাদেশের মানুষের যে স্বপ্ন যে আকাঙ্ক্ষা যে একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা একটা বৈষম্যহীন অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা, সেটাকে তারা পুরোপুরিভাবে বিনষ্ট করে দিয়েছে। বাংলাদেশে একটা আত্মা আছে সেই আত্মটা হচ্ছে যে, একটা উদার রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক আত্মা, একটা বৈষম্যহীন ব্যবস্থার আত্মা, এটাকেই তারা নষ্ট করে ফেলেছে- এটা একটা বড় অপরাধ’— বলেন ফখরুল।

মিলাদ মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, উলামা দলের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আবদুল কালাম আজাদসহ নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন